Breaking







Showing posts with label জেনে রাখা ভালো. Show all posts
Showing posts with label জেনে রাখা ভালো. Show all posts

Sunday, 10 August 2025

August 10, 2025

দেশাত্মবোধক উক্তি | স্বাধীনতা সম্পর্কে বিখ্যাত উক্তি

দেশাত্মবোধক উক্তি | স্বাধীনতা নিয়ে বিখ্যাত উক্তি | স্বাধীনতা নিয়ে বিখ্যাত বাণী | দেশ স্বাধীন নিয়ে উক্তি

দেশাত্মবোধক উক্তি | স্বাধীনতা নিয়ে বিখ্যাত উক্তি | স্বাধীনতা নিয়ে বিখ্যাত বাণী | দেশ স্বাধীন নিয়ে উক্তি
দেশাত্মবোধক উক্তি | স্বাধীনতা সম্পর্কে বিখ্যাত উক্তি
কলম 
সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আজকের এই প্রতিবেদনে কিছু দেশাত্মবোধক উক্তি তথা স্বাধীনতা বিষয়ক বিখ্যাত উক্তি সমূহ শেয়ার করলাম। যেটিতে দেশ বা স্বাধীনতা নিয়ে বিখ্যাত ব্যক্তিদের কিছু বিখ্যাত উক্তি বা বাণী দেওয়া আছে।

দেশাত্মবোধক উক্তি

তোমরা আমাকে রক্ত দাও,
আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব।
-নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু

“স্বরাজ আমার জন্মগত অধিকার
এবং
আমি তা অর্জন করবই”
-বাল গঙ্গাধর তিলক

“স্বাধীনতা মানুষের মনের একটি খোলা জানালা,
যেদিক দিয়ে
মানুষের আত্বা ও মানব মর্যাদার আলো প্রবেশ করে”
-হার্বার্ট হুভার

“স্বাধীনতা মানুষের প্রথম
এবং
মহান একটি অধিকার”
-মিল্টন

“স্বাধীনতা কেউ দেয় না,
অর্জন করে নিতে হয়”
-নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু

“নিজের ইচ্ছামত বাঁচা ছাড়া
স্বাধীনতার অর্থ আর কিইবা হতে পারে”
-অ্যাপিকটিটাস

“করেঙ্গে ইয়া মরেঙ্গে”
-মহাত্মা গান্ধি

“স্বাধীনতা অর্জন করা সহজ কাজ নয়।
কিন্তু একে ছাড়া বেঁচে থাকাও কঠিন।
তাই যে কোনও মূল্যে স্বাধীনতা অর্জন করাই আমাদের প্রথম কর্তব্য হওয়া উচিত।”
-মহাত্মা গান্ধি

“আমি স্বাধীন ছিলাম,
স্বাধীন আছি
এবং থাকবো”
-চন্দ্রশেখর আজাদ

“ইনকিলাব জিন্দাবাদ”
-ভগৎ সিং

“সারফারোশি কি তামান্না আব হামারে দিল মে হ্যায়”
-রামপ্রসাদ বিসমিল

“দেশপ্রেমিকের রক্ত হচ্ছে
স্বাধীনতা নামক বৃক্ষের বীজ”
-থমাস ক্যাম্পবেল

“স্বাধীনতা পাওয়া মূল্যবান নয়,
যদি না ভুল করার স্বাধীনতা তার অন্তর্ভুক্ত থাকে”
-মহাত্মা গান্ধি

বন্দেমাতরম
-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

“মারো ফিরিঙ্গি কো”
-মঙ্গল পাণ্ডে

“সত্যমেব জয়তে”
-মদন মোহন মালব্য

“সব লাল হো জায়গা”
-রঞ্জিত সিং

“নিজের দেশকে ভালোবাসা যদি অপরাধ হয়,
তাহলে আমি অপরাধী”
-অরবিন্দ ঘোষ

“স্বাধীনতা-হীনতায় কে বাঁচিতে চায় হে,
কে বাঁচিতে চায় ?
দাসত্ব শৃঙ্খল বল কে পরিবে পায় হে,
কে পরিবে পায়।”
-রঙ্গলাল বন্দোপাধ্যায়

“যেখানে জাতির চিন্তা ও পদক্ষেপ স্বাধীনতার দিকে- হে বিধাতা,
আমার দেশকে জেগে থাকতে দিন।”
-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

Saturday, 9 August 2025

August 09, 2025

রাখি বন্ধন উৎসব প্রথম কবে পালিত হয় | রাখি বন্ধন উৎসব কে চালু করেন | রাখি বন্ধন উৎসব কেন পালন করা হয়

রাখি বন্ধন উৎসব প্রথম কবে পালিত হয় ? রাখি বন্ধন উৎসব কে চালু করেন ? রাখি বন্ধন উৎসব কেন পালন করা হয় ?

রাখি বন্ধন উৎসব প্রথম কবে পালিত হয় | রাখি বন্ধন উৎসব কে চালু করেন | রাখি বন্ধন উৎসব কেন পালন করা হয়
রাখি বন্ধন উৎসব প্রথম কবে পালিত হয় | রাখি বন্ধন উৎসব কে চালু করেন | রাখি বন্ধন উৎসব কেন পালন করা হয়
কলম 
সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আজকের পোস্টে রাখি বন্ধন বা রাখি পূর্ণিমা উৎসব সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করলাম। যেটিতে রাখি বন্ধন উৎসব প্রথম কবে পালিত হয়, রাখি বন্ধন উৎসব কে চালু করেন, রাখি বন্ধন উৎসব কেন পালন করা হয় ইত্যাদি সমস্ত কিছু দেওয়া আছে।

রাখি বন্ধন উৎসব

বাংলার মাটি, বাংলার জল,
বাংলার বায়ু, বাংলার ফল
পুণ্য হউক পুণ্য হউক
পুণ্য হউক হে ভগবান।

বাংলার ঘর, বাংলার হাট,
বাংলার বন, বাংলার মাঠ
পূর্ণ হউক পূর্ণ হউক
পূর্ণ হউক হে ভগবান।

বাঙালির পণ, বাঙালির আশা,
বাঙালির কাজ, বাঙালির ভাষা
সত্য হউক সত্য হউক
সত্য হউক, হে ভগবান।

বাঙালির প্রাণ, বাঙালির মন,
বাঙালির ঘরে যত ভাই-বোন
এক হউক এক হউক
এক হউক হে ভগবান।

-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

রাখি বন্ধন উৎসব

রাখি বন্ধন উৎসব হল একটি মহাপবিত্র ও সুন্দর সংহতির অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানের দ্বারা ভাই-বোনের মধ্যে ভালোবাসা ও স্নেহের বন্ধনকে দৃঢ় শক্তিশালী ও পুনরুজ্জীবিত করে তোলে। এই চিরন্তন পবিত্র উৎসব পরিবারের সকল সদস্যদের পাশাপাশি সমাজ তথা সমগ্র মানবজাতিকে সুসম্পর্কের বন্ধনে আবদ্ধ করে ও ঐক্যকে নিশ্চিত করে। রাখিবন্ধন অনুষ্ঠানে ভাইদের পাশাপাশি বোনরা নতুন পোশাক পরিধান করে এবং মিষ্টি মুখ করানোর মধ্য দিয়ে ভাইদের হাতে পবিত্র সুতো বা রাখি বেঁধে দেয়। পরিবর্তে ভাইরা বোনদেরকে উপহার দিয়ে থাকে।

রাখি বন্ধন উৎসব কেন পালন করা হয়

রাখি বন্ধন বা রাখি পূর্ণিমা ভারতের একটি সুপ্রচলিত পবিত্র উৎসব। প্রধানত এই দিনে ভাই-বোনের সম্পর্ক আজীবন রক্ষা করার উদ্দেশ্যে দাদা বা ভাইয়ের ডান হাতের কব্জিতে দিদি বা বোনেরা পবিত্র সুতো বেঁধে দেয়। এর মাধ্যমে দিদি বা বোনেরা, দাদা বা ভাইয়ের মঙ্গল কামনা করে থাকে। বিনি হিন্দু পঞ্জিকা মতে শ্রাবণ মাসের শুক্লা পক্ষের পূর্ণিমা তিথিতে এই উৎসব পালন করা হয়ে থাকে। রাখিবন্ধন উৎসবটি ভারতবর্ষের সকল জাতি ও বর্ণের মানুষরা পালন করে থাকে; তবে হিন্দু, মুসলমান, শিখ, জৈন ও বৌদ্ধ ধর্মের মানুষদের মধ্যেই বেশী প্রচলিত। তবে বর্তমানে এদেশের পাশাপাশি বিদেশেও এই উৎসব খ্যাতি অর্জন করেছে।

রাখি বন্ধন উৎসব প্রথম কবে পালিত হয়

ঐতিহাসিক কাহিনী থেকে জানা যায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নেতৃত্বে ১৯০৫ সালে প্রথম রাখি বন্ধন উৎসব পালিত হয়। আর এই ১৯০৫ সাল থেকে রাখি বন্ধন উৎসব পালন করা হয়।

রাখি বন্ধন উৎসব কে চালু করেন

রাখি বন্ধন উৎসব চালু বা প্রচলন করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ প্রতিরোধ করার জন্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রাখি বন্ধন উৎসব পালন করেছিলেন। তিনি কলকাতা, ঢাকা ও সিলেট থেকে হাজার হাজার হিন্দু ও মুসলিম ভাই-বোনকে আহ্বান করেছিলেন একতার প্রতীক হিসাবে রাখি বন্ধন উৎসব পালন করার জন্য।

রাখি বন্ধন উৎসবের পৌরাণিক কাহিনী

রাখি বন্ধন উৎসবের উৎপত্তি খুঁজতে গিয়ে মহাভারতের কাহিনী সম্পর্কে জানতে পারি। মহাভারতে বর্ণিত, এক যুদ্ধে কৃষ্ণের কবজিতে আঘাত লেগে রক্তপাত শুরু হলে পঞ্চপাণ্ডবের স্ত্রী দ্রৌপদী তাঁর শাড়ির আঁচল খানিকটা ছিঁড়ে কৃষ্ণের হাতে বেঁধে দেন। ফলতু দ্রৌপদী তাঁর অনাত্মীয়া হলেও, তিনি দ্রৌপদীকে নিজের বোনের মর্যাদা দেন। পরবর্তীতে কৌরব পক্ষ কতৃক দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণকালে শ্রীকৃষ্ণ দৌপদী সম্মান রক্ষা করে ভাই-বোনের সম্পর্ককে দৃষ্টান্ত স্বরূপ গড়ে তোলে, এইভাবেই রাখি বন্ধনের প্রচলন হয়।

ঐতিহাসিক কাহিনী বা রাখিবন্ধন ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

ঊনবিংশ শতকের প্রথমার্ধে ভারতবর্ষে জাতীয়তাবাদী আন্দোলন চরম পর্যায়ে পৌঁছালে ব্রিটিশ সরকার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাকে দুটি প্রদেশে বিভক্ত করবে। ফলতু তৎকালীন সময় দেশে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা চরম আকার ধারন করে। ব্রিটিশ সরকারের এই বিরূপ সিদ্ধান্ত বঙ্গভঙ্গ প্রতিরোধ করার জন্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তৎকালীন হিন্দু ও মুসলিম ভাই-বোনকে একত্রিত হওয়ার জন্য আহ্বান করেছিলেন।

১৯০৫ সালের জুন মাসে লর্ড কার্জনের বঙ্গভঙ্গের সিদ্ধান্ত নেওয়ার মাধ্যমে ওই বছরেরই আগস্ট মাসে বঙ্গভঙ্গ আইন পাশ হয়। বঙ্গভঙ্গ আইনটি ১৯০৫ সালের ১৬ই অক্টোবর কার্যকর হলে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হিন্দু-মুসলিমদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব বোধ জাগিয়ে তোলা এবং ব্রিটিশদের বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য সবাইকে রাখী বন্ধন উৎসব পালন করার জন্য আহ্বান করেন।

Wednesday, 23 July 2025

July 23, 2025

ভারতের স্বাধীনতা দিবস রচনা | স্বাধীনতা দিবস রচনা ২০২৫

ভারতের স্বাধীনতা দিবস রচনা | 15 আগস্ট স্বাধীনতা দিবস রচনা PDF | India Independence Day Essay in Bengali PDF

ভারতের স্বাধীনতা দিবস রচনা | 15 আগস্ট স্বাধীনতা দিবস রচনা PDF | India Independence Day Essay in Bengali PDF
ভারতের স্বাধীনতা দিবস রচনা | স্বাধীনতা দিবস রচনা ২০২৫
কলম 
সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আপনারা যারা ভারতের স্বাধীনতা দিবস সম্পর্কে রচনা লেখার জন্য একটা ভালো ধরনের আর্টিকেলের অনুসন্ধান করছেন, তাদের জন্য আমাদের আজকের এই পোস্ট। এই পোস্টটির মধ্যে খুব সুন্দর করে ভারতের স্বাধীনতা দিবস সম্পর্কে লেখা আছে। সুতরাং স্বাধীনতা দিবস রচনাটি দেখে নিন এবং প্রয়োজনবোধে নীচ থেকে পিডিএফটি সংগ্রহ করে নিন।

ভারতের স্বাধীনতা দিবস রচনা

"স্বাধীনতার-হীনতায় কে বাঁচিতে চায় হে,
কে বাঁচিতে চায়?
দাসত্ব শৃঙ্খল বল কে পরিবে পায় হে,
কে পরিবে পায়।"

-রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায়

ভূমিকা

দেশজননী ভারতবর্ষের শৃঙ্খলমুক্তির জীবনের ইতিহাসে স্মরণীয় দিন ১৯৪৭ সালের ১৫ই আগস্ট। কয়েক শতক ধরে বহু বীর সন্তানের বুকের রক্ত ঝরানো ও বহু বীর শহীদের আত্মবলীদানের পর এসেছে মাতৃজননী ভারত মাতার জাতীয় মুক্তি তথা স্বাধীনতা। এই স্বাধীনতার অরুণোদয় সূচিত হয়েছে সুদীর্ঘ আন্দোলন ও সংগ্রামের মধ্য দিয়ে যা প্রায় দুশো বছর ধরে চলা ব্রিটিশ রাজশক্তিকে পদানত করে।

স্বাধীনতা আন্দোলন-স্বাধীনতা প্রাপ্তি 

ভারত বহু শতাব্দী ধরে মাতৃভূমির পরাধীনতার গ্লানি-স্বাধীনতার আকাঙ্খাকে কখনই পরিত্যাগ করেনি, তেমনি মনের মন্দিরে লালন করে আসা স্বাধীনতার আর্তিকে ফুরিয়ে যেতে দেয়নি। বরং ভারতমাতার দুঃসাহসী বীরসংগ্রামীরা আত্মোৎস্বর্গ দ্বারা মাতৃভূমি, সংস্কৃতি ও স্বাধীনতা সংগ্রামে সহিংস কিংবা অহিংস আন্দোলনের মধ্য দিয়ে অশেষ দুঃখকষ্ট বরণ করেছেন, নিপীড়ন-নির্যাতন সহ্য করেছেন এবং এমনকি মৃত‍্যুবরণও করেছেন। এহেন স্বাধীনতা ব্রিটিশ রাজশক্তির কৃপা বা অনুগ্রহের দান নয়, বরং আদায়কৃত বা অর্জিত।

স্বাধীনতাকে ঘিরে জাতির আশা-আকাঙ্খা

ভারত তো বহুরত্না বসুন্ধরা! আজ ভারতের প্রতিটি প্রান্তে, প্রতিটি সময় খণ্ডে অসংখ্য মানুষ, যাঁদের নাম হয়তো বা ইতিহাসের পাতায় খুঁজে পাওয়া যাবে না, সেই তাঁরাই এই দেশ গড়েছেন, একে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। তবে অখণ্ড ভারতের স্বাধীনতাপ্রাপ্তির স্বপ্ন স্বার্থক হয়নি। ভারতজননী পরাধীনতার নাগপাশ থেকে মুক্তি পেয়েছে দু-বাহু কর্তিত আকারে। একথা অনস্বীকার্য, দেশবিভাগের ক্ষত পঁচাত্তর বছরেও রক্তক্ষরা, কবে নিরাময় হবে তা আগামী কালই জানে। ভারত স্বাধীন হয়ে আত্মনির্ভরশীল হয়ে ওঠার স্বপ্ন ও আশা-আকাঙ্খা ছিল জনগণের। তবে এ কথা সত্য যে আধুনিক বিশ্বে প্রগতির ভিত আধুনিক পরিকাঠামোর উপর নির্ভরশীল যা দেশের গঠন মূলক কাজের মাধ্যমেই দেশবাসীর কাছে স্বাধীনতার স্বাদ পৌঁছে দেবে। একবিংশ শতাব্দীতে ভারতের স্বপ্নগুলি এবং আকাঙ্ক্ষাগুলিকে বাস্তবায়িত করার ক্ষেত্রে কোনও বাধা এখন আমাদের থামাতে পারবে না। আমাদের শক্তিই আমাদের প্রাণচাঞ্চল্য, আমাদের শক্তিই আমাদের ঐক্যবদ্ধতা, আমাদের প্রাণশক্তি ‘রাষ্ট্র সর্বাগ্রে, সর্বদাই সর্বাগ্রে’-র ভাবনা। এই সময় হল মিলিতভাবে স্বপ্ন দেখার। এই সময় হল সবাই মিলে সঙ্কল্প নেওয়ার। এই সময় হল সবাই মিলে চেষ্টা করার আর এই সময় হল আমাদের বিজয়ের পথে এগিয়ে চলার ।

পঁচাত্তর বছরের উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলী

স্বাধীনতার পরবর্তী পঁচাত্তর বছরে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে অনেক ঘটনাই ঘটেছে। স্বাধীনতা প্রাপ্তির মুহূর্তে জওহরলাল নেহেরুর প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ গ্রহণ থেকে শুরু করে ১৯৫০ এ নতুন সংবিধান গৃহীত, ১৯৫১ তে প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা গ্রহণ, ১৯৫২ তে প্রথম সাধারণ নির্বাচন, প্রতিবেশী রাষ্ট্র চীন ও পাকিস্তানের সঙ্গে ১৯৬২ ও ১৯৬৫ তে যুদ্ধ, ১৯৬৯ তে ব্যাংক জাতীয় করণ, ১৯৭১ তে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, ১৯৭৫ তে জাতীয় জরুরী অবস্থা ঘোষণা, ১৯৮৪ তে খালিস্তানী দমনে পাঞ্জাবে 'অপারেশন ব্লু স্টার' সংগঠিত করা, ১৯৯২ তে বাবরি মসজিদ ধ্বংস, ১৯৯৮ তে কার্গিল যুদ্ধ, ২০১৬ তে নোটবন্দি, ২০২০ তে কাশ্মীরে ৩৭০এর বিলোপসাধন প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য ঘটনা। এছাড়া বিজ্ঞান প্রযুক্তি ও সংস্কৃতি ক্ষেতে উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলী হল ১৯৬৮ তে চিকিৎসাশাস্ত্র ও শরীরবিদ্যায় হরগোবিন্দ খুরানার নোবেল প্রাপ্তি থেকে শুরু করে বিশ্বশান্তিতে ২০১৪ তে কৈলাশ সত‍্যর্থী নোবেল প্রাপ্তি, ১৯৯২তে সত্যজিৎ রায়ের অস্কার বিজয়, ১৯৮৩ ,২০০৭ ও ২০১১ তে ক্রিকেটে বিশ্ববিজয় সম্মান, ১৯৭৫ তে উপগ্রহ আর্যভট্টের সঠিক নিক্ষেপণ, ২০১৩ তে প্রথম মঙ্গলযান প্রেরণ প্রভৃতি ঐতিহাসিক ঘটনার সম্মুখীন হয়েছে।

ধর্মীয়, বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন ও জাতীয় সংহতি

ভারত বহু জাতি, ধর্ম ও বর্ণের মিলনতীর্থ। বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য এই সভ্যতার মূলমন্ত্র। কিন্তু উগ্র জাতীয়তাবাদ, ধর্মান্ধতা, উগ্র ভাষাপ্রীতি শুধু বিচ্ছিন্নতাবোধকে জাগিয়ে তোলেনি বরং দেশ ও জাতির ঐক্যের পরিপন্থী হয়ে উঠেছে, যা দেশকে করেছে কলঙ্কিত।

উন্নয়ন, ব্যর্থতা ও স্বপ্নভঙ্গ

বিগত পঁচাত্তর বছরে পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার মাধ্যমে কৃষি, শিল্প ও আনুষঙ্গিক বিষয়গুলির অভূতপূর্ব অগ্রগতি ও উন্নয়ন ঘটেছে, খাদ্যে দেশ কেবল স্বনির্ভরই নয়, উদবৃত্ত বলেও চিহ্নিত হয়েছে। কৃষি, শিল্প, যোগাযোগ, পরিবহন, খনিজ সম্পদ আহরণে অগ্রগতি ও উন্নতি অবশ্যই লক্ষনীয়। যা জাতীয় আয়ের সামগ্রিক বৃদ্ধির প্রশংসার দাবিদার। তবে কৃষিজীবী ও শ্রমজীবী মানুষের একাংশ আজও দারিদ্রসীমার নিচে অনাহারে, অর্ধাহারে কিংবা চিকিৎসার অভাবে কিছু সংখ্যক মানুষের দিন কাটে। কোটি কোটি শিক্ষিত মানুষের বেকারত্বের যন্ত্রণা, হতাশা ও ব্যর্থতার গ্লানি দিনে দিনে করেছে বিপন্ন - যা অস্বীকার করার উপায় নেই।

উপসংহার

আন্তর্জাতিক রাজনীতি ও অর্থনীতির ক্ষেত্রে ভারতবর্ষ বিগত পঁচাত্তর বছরে গৌরবোজ্জ্বল ক্রিয়াকর্মের দৃষ্টান্ত রেখেছে যা দেশের বীরত্বের নাজির গড়েছে। তা সত্ত্বেও কিছু স্বপ্নভঙ্গের হতাশা, ব্যর্থতা নৈরাশ্যের গ্লানি দেশবাসীর মনকে ছুঁয়ে গেছে।

স্বাধীনতা দিবস রচনাটির পিডিএফ লিংক নীচে দেওয়া আছে


Tuesday, 22 July 2025

July 22, 2025

ভারতের জাতীয় পতাকা | ইতিহাস, বর্ণনা, ব্যবহারের নিয়ম

ভারতের জাতীয় পতাকা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা | National Flag of India Details in Bengali

ভারতের জাতীয় পতাকা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা | National Flag of India Details in Bengali
ভারতের জাতীয় পতাকা
কলম 
সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আজকের পোস্টে ভারতের জাতীয় পতাকা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করলাম। যার মাধ্যমে তোমরা ভারতের জাতীয় পতাকার ইতিহাস, বৈশিষ্ট্য বা বর্ণনা, জাতীয় পতাকা ব্যবহারের নিয়ম প্রভৃতি বিষয়গুলি সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা গঠন করতে পারবে।

নীচে পয়েন্ট করে করে ভারতের জাতীয় পতাকা সম্পর্কে দেওয়া আছে। তাই দেরী না করে পোস্টটি ভালো করে দেখে নাও।

National Flag of India Details in Bengali ::

■ জাতীয় পতাকাঃ
কোন দেশ বা জাতির ঐতিহ্য, মর্যাদা ও গৌরবমণ্ডিত প্রতীককে জাতীয় পতাকা বলে।

■ ভারতের জাতীয় পতাকার ইতিহাসঃ
১৯০৬ সালের ৭ই আগস্ট কলকাতার পার্শি বাগানে ভারতের প্রথম জাতীয় পতাকা উত্তোলিত হয়েছিল। পতাকাটি সবুজ, হলুদ ও লাল রঙের তিনটি অনুভূমিক ক্ষেত্র দ্বারা গঠিত ছিল। উপরের সবুজ অংশে আটটি সাদা পদ্ম আঁকা ছিল, হলুদ অংশে দেবনাগরী ভাষায় নীল রঙ দিয়ে বন্দেমাতরম্ লেখা ছিল এবং লাল অংশের একদিকে সাদা রঙের সূর্য ও অন্যদিকে অর্ধচন্দ্র আঁকা ছিল। নিম্নে পতাকাটির ছবি দেওয়া হল -
ভারতের জাতীয় পতাকা (১৯০৬)
ভারতের জাতীয় পতাকা (১৯০৬)

১৯০৭ সালে প্যারিসে ভিকাজি রুস্তম কামা ভারতের স্বাধীনতা যুদ্ধের পতাকা উত্তলন করেন। আগের পতাকার থেকে এই পতাকায় কিছুটা তফাৎ দেখা যায়। এই পতাকাটি ছিল গেরুয়া, সাদা ও সবুজ রঙের। উপরের গেরুয়া অংশে আটটি সাদা ফুল আঁকা ছিল, হলুদ অংশে দেবনাগরী ভাষায় কালো রঙ দিয়ে বন্দেমাতরম্ লেখা ছিল এবং সবুজ অংশের একদিকে সাদা রঙের সূর্য ও অন্যদিকে অর্ধচন্দ্র আঁকা ছিল। নিম্নে পতাকাটির ছবি দেওয়া হল -
ভারতের জাতীয় পতাকা (১৯০৭)
ভারতের জাতীয় পতাকা (১৯০৭)

১৯১৭ সালে হোমরুল লিগের নেতা বাল গঙ্গাধর তিলক ও অ্যানি বেসান্ত স্বাধীনতা যুদ্ধের জন্য এক নতুন পতাকা উত্তলন করেন। নিম্নে পতাকাটির ছবি দেওয়া হল -
ভারতের জাতীয় পতাকা (১৯১৭)
ভারতের জাতীয় পতাকা (১৯১৭)

১৯২১ সালে বিজয়ওয়াড়ার জাতীয় কংগ্রেসের সম্মেলনে উত্তোলিত হয় ভারতের নতুন এক জাতীয় পতাকা। যেটি গান্ধিজিকে উপহার দেন অন্ধ্রপ্রদেশের এক ব্যক্তি। এই পতাকাটি ছিল সাদা, সবুজ ও লাল রঙের। নিম্নে পতাকাটির ছবি দেওয়া হল -
ভারতের জাতীয় পতাকা (১৯২১)
ভারতের জাতীয় পতাকা (১৯২১)

১৯৩১ সালে এই পতাকা আবার পরিবর্তন করা হয়। বর্তমান পতাকার মতোই তাতে গেরুয়া, সাদা ও সবুজ রঙ ছিল। আর মাঝের সাদা অংশে মধ্যে ছিল চরকা। নিম্নে পতাকাটির ছবি দেওয়া হল -
ভারতের জাতীয় পতাকা (১৯৩১)
ভারতের জাতীয় পতাকা (১৯৩১)

১৯৪৭ সালের ৩রা জুন যখন ব্রিটিশ সরকার ঘোষণা করলেন ১৫ই  আগস্টে ভারত স্বাধীন হবে, গণপরিষদ তখন একটা অস্থায়ী কমিটি তৈরি করলেন স্বাধীন ভারতের পতাকা তৈরি করার জন্যে।

১৯৪৭ সালের ২২শে জুলাই ভারতের গণপরিষদে জাতীয় পতাকার নকশা গৃহীত হয়। এই জাতীয় পতাকার নকশা তৈরি করেন পিঙ্গালি ভেঙ্কাইয়া। ১৯৪৭ সালের ১৪ই আগস্ট মধ্যরাত্রিতে এই পতাকা জাতির উদ্দেশ্যে গণপরিষদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। নিম্নে পতাকাটির ছবি দেওয়া হল -
ভারতের জাতীয় পতাকা (১৯৪৭)
ভারতের জাতীয় পতাকা (১৯৪৭)

■ ভারতের জাতীয় পতাকার বর্ণনাঃ
ভারতের জাতীয় পতাকার তিনটি রঙ, তাই নাম ত্রিরঙা। পতাকাটি আয়তক্ষেত্রবিশিষ্ট এবং পতাকার দৈর্ঘ্য ৩ মিটার ও প্রস্থ ২ মিটার। পতাকাটি তিনটি আয়তক্ষেত্রবিশিষ্ট প্রথক তিনটি বর্ণের অংশ নিয়ে গঠিত অর্থাৎ তিনটি রঙেরই জমিন সমান। সবার ওপরে গেরুয়া, মাঝে সাদা ও নীচে গাঢ় সবুজ। পতাকাটির সাদা রঙের মাঝখানে একটি নল রঙের ২৪টি কাঁটাবিশিষ্ট চক্র বসান থাকে। এই চক্রটি সম্রাট অশোকের ধর্মচক্রের অনুকরণ, একে তাই অশোকচক্র বলে।

প্রতিটি রঙ এবং অশোকচক্র বিশেষ দার্শনিক অর্থ প্রকাশ করে।  যেমন -

● গেরুয়া - শৌর্য, সেবা ও ত্যাগের প্রতীক। 
● সাদা - শান্তি ও পবিত্রতার প্রতীক। 
● গাঢ় সবুজ - কর্মশক্তি, নির্ভীকতা জীবনধর্মের প্রতীক। 
● অশোকচক্র - দেশের উন্নতি ও প্রগতির প্রতীক।

■ জাতীয় পতাকা ব্যবহারের নিয়মঃ
● যেখানেই এই পতাকাটি উত্তোলিত করা হবে, সেখানেই যথেষ্ট মর্যাদার সঙ্গে স্বতন্ত্রভাবে স্থাপন করতে হবে।
● পতাকার গেরুয়া রঙের দিক সবসময় উপরে থাকবে।
● কোন ব্যক্তি বা বস্তুর সামনে জাতীয় পতাকা নোয়ানো চলবে না।
● যদি এক লাইনে অন্য পতাকার সঙ্গে জাতীয় পতাকা ওঠানো হয়, তবে অন্য সব পতাকার থেকে জাতীয় পতাকা সবার উপরে থাকবে। 
● সাধারণত জাতীয় পতাকা যেসব গুরুত্বপূর্ণ সরকারী ভবনে উড্ডীন রাখা হয় সেখানে জাতীয় শোকপ্রকাশ করতে কিংবা কোন ব্যক্তি বা রাষ্ট্রের প্রতি সম্মান দেখানোর সময় জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়।  
● ছেঁড়া, ফাটা কিংবা বিবর্ণ জাতীয় পতাকা উত্তোলন বেআইনি।
● জাতীয় পতাকা কুঞ্চিত অবস্থায় ব্যবহার করা যাবে না।
● জাতীয় পতাকার সঙ্গে অন্য কোন পতাকা একই দণ্ডে তোলা বা ব্যবহার করা যাবে না।
● জাতীয় পতাকা থেকে বেশি উচ্চতায় অন্য কোন পতাকা একসঙ্গে ব্যবহার করা যাবে না।

*** Flag Code of India 2022 অনুযায়ী, দিন ও রাত উভয় ক্ষেত্রেই পতাকা তুলে রাখা যাবে।

■ ভারতের জাতীয় পতাকা সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তরঃ 

প্রশ্নঃ ভারতের জাতীয় পতাকার দৈর্ঘ্য প্রস্থ কত ?
উত্তরঃ ভারতের পতাকার দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের অনুপাত ৩:২।

প্রশ্নঃ ভারতের জাতীয় পতাকার নকশা কে করেন ?
উত্তরঃ পিঙ্গালি ভেঙ্কাইয়া।

প্রশ্নঃ ভারতের জাতীয় পতাকা কবে গৃহীত হয় ?
উত্তরঃ ১৯৪৭ সালের ২২শে জুলাই।

প্রশ্নঃ আইন অনুযায়ী ভারতের জাতীয় পতাকা কোন কাপড়ে তৈরি হয় ?
উত্তরঃ খাদি কাপড়ে।

প্রশ্নঃ ভারতীয় জাতীয় পতাকার নকশা কোন পতাকা থেকে গ্রহণ করা হয় ?
উত্তরঃ পতাকাটির নকশা প্রস্তুত করা হয়েছিল ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের পিঙ্গালি ভেঙ্কাইয়া কৃত ‘স্বরাজ’ পতাকার আদলে।

প্রশ্নঃ ভারতের জাতীয় পতাকার ছবি কবে প্রথম ডাকটিকিটে স্থান পেয়েছিল ?
উত্তরঃ ১৯৪৭ সালের ২২শে নভেম্বর।

■ তথ্য সংগ্রহঃ পশ্চিমবঙ্গ মধ্য শিক্ষা পর্ষদের ষষ্ঠ শ্রেণির স্বাস্থ্য ও শারীরশিক্ষা বই

Wednesday, 25 June 2025

June 25, 2025

বোধ পরীক্ষণ কি | বোধ পরীক্ষণ সমাধানের সঠিক উপায় | বোধ পরীক্ষণের উদাহরণ

Comprehension বা বোধ পরীক্ষণ কি, সমাধানের উপায় ও উদাহরণ | Reading Comprehension Tips and Tricks in Bengali

Comprehension বা বোধ পরীক্ষণ কি, সমাধানের উপায় ও উদাহরণ | Reading Comprehension Tips and Tricks in Bengali
বোধ পরীক্ষণ কি | বোধ পরীক্ষণ সমাধানের সঠিক উপায় | বোধ পরীক্ষণের উদাহরণ
কলম 
ডিয়ার স্টুডেন্টস,
আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থায় Comprehension বা বোধ পরীক্ষণ কথাটির সঙ্গে আমরা কমবেশী সকলেই পরিচিত। কিন্তু বোধ পরীক্ষণ সম্বন্ধে তথা বোধ পরীক্ষণ বা কমপ্রিহেনশন কি এবং বোধ পরীক্ষণ কীভাবে করা হয় এই নিয়ে অনেকেরই মধ্যে তেমন স্বচ্ছ ধারণা নেই। তাই আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা বোধ পরীক্ষণ বা Comprehension বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করলাম।

বোধ পরীক্ষণ কি এবং কি কি উপায় অবলম্বন করলে সঠিকভাবে বোধ পরীক্ষণ সমাধান করা যায় এই নিয়ে পোস্টটির মধ্যে আলোচনা করা রয়েছে। এছাড়াও উদাহরণ হিসাবে একটি অনুচ্ছেদ দেওয়া আছে, যার মাধ্যমে আপনারা নিজেদের যাচাই করে নিতে পারবেন।

বোধ পরীক্ষণ ::

বোধ পরীক্ষণ বা Comprehension Test কথাটির অর্থ হলো কিছু বোঝা বা হৃদয়ঙ্গম করা। বোধ পরীক্ষণ বা কমপ্রিহেনশন টেস্টের মাধ্যমে পরীক্ষার্থীরা নির্বাচিত অনুচ্ছেদটিকে পড়ে বোধগম্য করতে পারছে কিনা এবং নিজের ভাব ঠিকমতো প্রকাশ করতে পারছে কিনা তা যাচাই করা হয়।

বোধ পরীক্ষণ সমাধানের সঠিক উপায় ::

বোধ পরীক্ষণ সমাধানের সঠিক উপায় গুলি হলো-

প্রশ্নগুলি দ্রুত পরিদর্শন ::

কোনো কাজের ক্ষেত্রে যেমন একটি উদ্দেশ্য থাকে। ঠিক তেমনি আপনারও উচিত হবে অনুচ্ছেদটি পাঠের পূর্বে প্রদত্ত প্রশ্নগুলি অতি দ্রুততার সহিত পরিদর্শন করে নেওয়া। কারণ এ বিষয়ে গবেষণায় শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে দেখা গেছে যে প্রশ্নগুলি আগে পড়ে বোধগম্য করে নেওয়ার ফলে পাঠটি পড়ার সময়ই উত্তরগুলি খুবই সহজে নির্ণয় করে ফেলতে পারে। তাই আপনারও উচিত হবে প্রদেয় প্রশ্নগুলি দ্রুত পরিদর্শন করা।

অনুচ্ছেদটি মনোযোগ সহকারে পড়া ::

কোনো শিক্ষার্থীরই একটি অনুচ্ছেদ পাঠের ক্ষেত্রে মনোযোগ দীর্ঘক্ষণ স্থায়ী হয় না, তাই আপনাকে পাঠটি খুবই মনোযোগীতার সহিত পাঠ করতে হবে। এবার আপনি হয়তো বলবেন যে অনুচ্ছেদ পাঠের সময় পাঠটা আপনার কিভাবে মনোযোগী হবে ? তাহলে আপনাকে একটা বিষয় সর্বদা লক্ষ্য রাখতে হবে যে এই পাঠটি কেন পড়ছেন বা কেনই পড়ছেন ? অর্থাৎ আমরা যদি আমাদের মনকে এই প্রশ্নই বার বার করি তাহলেই দেখবেন আপনার প্রেষণা আপনাকে অনুচ্ছেদটি পাঠ করতে বাড়তি প্রেরণা দেবে। এইভাবেই আপনি অনুচ্ছেদটি পাঠের ক্ষেত্রে খুবই সহজে মনোযোগী হতে পারবেন।

শারীরিক সুস্থতা কামনা ::

'সুস্থ দেহে সুস্থ মনের বাস' অর্থাৎ সুস্থ শরীরই পারে মনন-চিন্তন শক্তিকে কার্যকরী করতে। তাই আপনি শারীরিক ভাবে সুস্থ না থাকলে কোনো ভাবেই Comprehension Test বা বোধগম্যতার অভিক্ষা সঠিক ভাবে খুবই কম সময়ের মধ্যে সমাধান করতে পারবেন না। তাই আপনার উচিত হবে পরীক্ষাকেন্দ্রে সুস্থ স্বাভাবিক থাকা।

অনুচ্ছেদটি বোধগম্য করা ::

কোনো বিষয় বা ঘটনা সম্পর্কে জানতে গেলে যেমন প্রধান প্রধান পয়েন্ট গুলি আয়ত্ব করা প্রয়োজন, ঠিক তেমনি প্রশ্নগুলি সমাধান করার উদ্দেশ্যে অনুচ্ছেদ বোধগম্য করা প্রয়োজন।

প্রশ্নগুলির উত্তরগুলো চিহ্নিত করুন ::

অনুচ্ছেদটি পাঠের সময় সাথে সাথেই প্রাপ্ত উত্তরগুলিকে চিহ্নিত করার মাধ্যমে প্রশ্নগুলির সমাধান করা সহজ সাধ্য হবে।

বোধ পরীক্ষণের উদাহরণ ::

এখন শুভ্র শরৎকাল। প্রাচীনকালে এই সময় রাজারা দিগ্‌বিজয়ে বাহির হইতেন। আমি কলিকাতা ছাড়িয়া কখনো কোথাও যাই নাই, কিন্তু সেইজন্যই আমার মনটা পৃথিবীময় ঘুরিয়া বেড়ায়। আমি যেন ঘরের কোনে চিরপ্রবাসী, বাহিরের পৃথিবীর জন্য আমার মন সর্বদা কেমন করে। একটা বিদেশের নাম শুনিলেই অমনি আমার চিত্ত ছুটিয়া যায়। তেমনি বিদেশী লোক দেখিলেই অমনি নদী-পর্বত, অরণ্যের মধ্যে একটা কুটিরের দৃশ্য মনে উদয় হয় এবং একটা উল্লাসপূর্ণ স্বাধীন জীবনযাত্রার কথা কল্পনায় জাগিয়া উঠে।

০১.গল্প কথকের বাড়ি কোথায়?
ⓐ কলকাতায়
ⓑ ব্যাঙ্গালুরুতে
ⓒ চন্দননগরে
ⓓ বাংলাদেশে

০২.‘দিগ্‌বিজয়’ শব্দটির সন্ধিবিচ্ছেদ করুন-
ⓐ দিগ্‌ + বিজয়
ⓑ দিক্‌ + বিজয়
ⓒ দিক্‌ + বীজয়
ⓓ কোনটিই নয়

০৩.‘চিরপ্রবাসী’ শব্দের সমাস নির্ণয় করুন-
ⓐ চিরকালব্যাপী প্রবাসী
ⓑ চির প্রবাসী যে
ⓒ চির প্রবাসী
ⓓ কোনটিই নয়

০৪.কী দেখামাত্র গল্পকথকের নদী-পর্বত, অরণ্যের কথা মনে আসে?
ⓐ গাড়ি
ⓑ বিদেশী মানুষ
ⓒ বাইরের ধানক্ষেত
ⓓ বন্ধু-বান্ধব

০৫.উদ্ধৃতাংশটি যে গল্প থেকে নেওয়া তার রচয়িতা কে?
ⓐ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
ⓑ প্রভাত কুমার মুখোপাধ্যায়
ⓒ বনফুল
ⓓ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়



Wednesday, 18 June 2025

June 18, 2025

প্রবন্ধ কাকে বলে | প্রবন্ধ কত প্রকার ও কি কি | প্রবন্ধ পাঠদানের উদ্দেশ্য | প্রবন্ধের বৈশিষ্ট্য | প্রবন্ধ লেখার নিয়ম

প্রবন্ধ কাকে বলে | প্রবন্ধ কত প্রকার ও কি কি | প্রবন্ধ পাঠদানের উদ্দেশ্য | প্রবন্ধের বৈশিষ্ট্য | প্রবন্ধ লেখার নিয়ম | Essay in Bengali PDF

প্রবন্ধ কাকে বলে | প্রবন্ধ কত প্রকার ও কি কি | প্রবন্ধ পাঠদানের উদ্দেশ্য | প্রবন্ধের বৈশিষ্ট্য | প্রবন্ধ লেখার নিয়ম
প্রবন্ধ কাকে বলে | প্রবন্ধ কত প্রকার ও কি কি | প্রবন্ধ পাঠদানের উদ্দেশ্য | প্রবন্ধের বৈশিষ্ট্য | প্রবন্ধ লেখার নিয়ম
কলম 
নমস্কার বন্ধুরা,
আজকের এই পোস্টে প্রবন্ধ কাকে বলে, প্রবন্ধ কত প্রকার ও কি কি বা প্রবন্ধের শ্রেণীবিভাগ, প্রবন্ধ পাঠদানের উদ্দেশ্য, প্রবন্ধের বৈশিষ্ট্য, প্রবন্ধ লেখার নিয়ম ইত্যাদি সমস্ত কিছু শেয়ার করলাম। সুতরাং পোস্টটি ভালো করে দেখে নিন এবং প্রয়োজনে নীচে দেওয়া লিংক থেকে পিডিএফ ফাইলটি সংগ্রহ করে নিন।

প্রবন্ধ-
প্রবন্ধ শব্দটির প্রকৃতি প্রত্যয়গত অর্থ হল ‘প্ৰকৃষ্ট বন্ধন’। ‘প্রকৃষ্ট বন্ধন’ বলতে বোঝায় বিষয়বস্তু ও চিন্তার ধারাবাহিক বন্ধনকে। নাতিদীর্ঘ, সুবিন্যস্ত গদ্য রচনাকে প্রবন্ধ বলে। প্রবন্ধ রচনার বিষয়, ভাব, ভাষা সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এক কথায় কল্পনা শক্তি ও বুদ্ধিবৃত্তিকে কাজে লাগিয়ে লেখক যে নাতিদীর্ঘ সাহিত্য রূপ সৃষ্টি করেন তাই প্রবন্ধ। 

প্রবন্ধ পাঠদানের উদ্দেশ্য-
প্রবন্ধ পাঠদানের গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্যগুলি হল-
  • শিক্ষার্থীদের তথ্যবহুল কথা বলার ও লেখার দক্ষতা অর্জন করানো।
  • শিক্ষার্থীদের যুক্তিবাদী করে তোলা।
  • গঠন ক্ষমতার উন্মেষ সাধনে প্রবন্ধ একান্ত ভাবে সাহায্য করে।
  • শব্দ জ্ঞান ও বাক‍্য পদহিত পদবিন্যাস রীতি সম্বন্ধে ধারণা লাভ করানো। 
  • সাহিত্যে বিভিন্ন বৈচিত্র্যময় শাখার সঙ্গে মেলবন্ধন ঘটানো প্রবন্ধের একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য।
  • প্রবন্ধ পাঠদানের মাধ্যমে নিয়মিত পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলা যায়।
  • ইতিহাসের বিভিন্ন শাখা ও সংস্কৃতি সম্পর্কে জানার জন্য প্রবন্ধ পাঠদান করা জরুরি।

প্রবন্ধের বৈশিষ্ট্য- 
ভাষার দক্ষতার বিকাশে প্রবন্ধের গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্যগুলি হল-
  • শিক্ষার্থীদের বলার দক্ষতাকে উন্নত করে তোলে। 
  • শিক্ষার্থীদের লেখার দক্ষতা বৃদ্ধি পায়। 
  • শিক্ষার্থীদের পড়ার প্রতি আগ্ৰহ বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। 
  • শিক্ষার্থীদের যুক্তিবাদী করে তুলতে সাহায্য করে। 

শ্রেণিবিভাগ-
প্রবন্ধকে প্রধানত দুই শ্রেণীতে ভাগ করা যায়। যথা- ০১. তন্ময় বা বস্তুনিষ্ঠ প্রবন্ধ এবং ০২. মন্ময় বা ব্যক্তিগত প্রবন্ধ। 

১. তন্ময় বা বস্তুনিষ্ঠ প্রবন্ধ- 
যে প্রবন্ধে বিষয়বস্তুর প্রাধান্য থাকে তাকেই তন্ময় বা বস্তুনিষ্ঠ প্রবন্ধ বলে। লেখকের পান্ডিত্য, জ্ঞানের গভীরতা ইত্যাদি এখানে ভালোভাবে প্রকাশ পায়। বস্তুনিষ্ঠ প্রবন্ধকেই মূলত প্রবন্ধ বলে বিবেচনা করা হয়। এই ধরণের প্রবন্ধের বৈশিষ্ট্যগুলি হল-
  • বস্তুনিষ্ঠ প্রবন্ধে লেখকের বিচার বুদ্ধি ও চিন্তাশীলতা প্রধান। 
  • বস্তুনিষ্ঠ প্রবন্ধে তত্ত্ব ও তথ্যের লক্ষণীয় প্রাধান্য থাকবে। 
  • বস্তুনিষ্ঠ প্রবন্ধে প্রাবন্ধিকের ব্যক্তিগত আবেগ-অনুভূতির পরিবর্তে বস্তুনিষ্ঠা ও মননের গুরুত্ব প্রাধান্য পাবে।
  • প্রাবন্ধিক বৈজ্ঞানিক তথা বিশ্লেষণী দৃষ্টিভঙ্গির পরিচয় দেবেন। 
  • প্রবন্ধকার শিক্ষক বা পরামর্শদাতার ভূমিকা পালন করবেন।

বস্তুনিষ্ঠ প্রবন্ধের শ্রেণিবিভাগ-
এই প্রবন্ধের মূলত ৭টি উপভাগ রয়েছে যেগুলি হল- 
  • বিবৃতিমূলক প্রবন্ধ
  • ব্যাখ্যামূলক প্রবন্ধ
  • বর্ণনামূলক প্রবন্ধ
  • বিতর্কমূলক প্রবন্ধ
  • চিন্তামূলক প্রবন্ধ
  • তথ্যমূলক প্রবন্ধ
  • নীতিকথামূলক প্রবন্ধ

০২. মন্ময় বা ব্যক্তিগত প্রবন্ধ-
যে প্রবন্ধে বিষয় চিন্তা অপেক্ষা ব্যক্তি হৃদয়ই প্রাধান্য পায় তাকে মন্ময় বা ব্যক্তিগত বা আত্মগৌরবী প্রবন্ধ নামে অভিহিত করা হয়। লেখক ব্যক্তিগত প্রবন্ধে হাস্যরস উচ্ছ্বাসের মাধ্যমে পাঠকের সঙ্গে একাত্ম হয়ে যান। এই ধরণের প্রবন্ধের বৈশিষ্ট্যগুলি হল-
  • যুক্তি ও মননশীলতার পরিবর্তে লেখকের হৃদয়াবেগেরই প্রাধান্য থাকবে।
  • ব্যক্তিগত প্রবন্ধ জ্ঞানের বিষয়কেও লঘু কল্পনায় রঞ্জিত করে হাস্যোচ্ছ্বলে পরিবেশন করে।
  • ব্যক্তিগত প্রবন্ধে বিষয়বস্তুর গাম্ভীর্যকে আত্মগত ভাবরসে স্নিগ্ধ করে পাঠকের চারদিকে একটা সুন্দর শান্ত পরিমণ্ডল গড়ে তোলে।
  • ব্যক্তিগত প্রবন্ধে লেখক স্বাধীনভাবে আপন চিন্তাশক্তি দিয়ে মনের কথা ব্যক্ত করেন তা পাঠক চিত্তে গিয়ে কৌতুকের উদ্রেক করে।

প্রবন্ধ লেখার নিয়ম- 
একটি ভালো প্রবন্ধ লেখার জন্য কী কী বিষয় মাথায় রাখতে হবে এবং কেমনভাবে গড়ে তুলবেন প্রবন্ধের দেহ, তা নিম্নে আলোচনা করা হল। প্রবন্ধকে তিনটি অংশে বিভাজন করে নেওয়া প্রয়োজন– ভূমিকা, বিষয়বস্তু এবং উপসংহার। 

০১. ভূমিকা-
ভূমিকা রচনার প্রবেশপথ। প্রবন্ধ রচনার জন্য একটি প্রাসঙ্গিক ভূমিকা দিতে হয়। এতে যে বিষয়ে রচনা হবে, তার আভাস এবং সংক্ষিপ্ত ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। টপিকের সঙ্গে মিল আছে, এমন একটি আকর্ষণীয় কথা দিয়ে ভূমিকা লেখা শুরু করুন। এই অংশে এমন কিছু ইঙ্গিত দেবেন যাতে কোন বিষয় এবং বিষয়টির কোন কোন দিক নিয়ে আলোচনা করতে চাইছেন সেই সম্পর্কে দৃষ্টিভঙ্গি স্পষ্ট হয়ে যায়। ভূমিকা সংক্ষিপ্ত রাখার চেষ্টা করবেন। 

০২. বিষয়বস্তু বা মূল বক্তব্য- 
বিষয়বস্তু বা মূল বক্তব্যই হচ্ছে রচনার প্রধান অংশ। এই অংশে রচনার মূল বিষয়বস্তুর সামগ্রিক পরিচয় স্পষ্ট করতে হয়। বিষয় বা ভাবকে পরিস্ফুট করার জন্য প্রয়োজনে ছোট ছোট অনুচ্ছেদ ব্যবহার করতে পারেন। তবে লক্ষ্য রাখবেন অনুচ্ছেদগুলোর ধারাবাহিকতা যেন বজায় থাকে।

০৩. উপসংহার-
উপসংহার ভূমিকার মতোই গুরুত্বপূর্ণ। বিষয়বস্তু আলোচনার পর এই অংশে একটা সিদ্ধান্তে আসা হয়, আর এই সিদ্ধান্তে আসাটাকেই বলা হয় উপসংহার। এখানে আপনি বর্ণিত বিষয়ে আপনার নিজস্ব মতামত বা অভিজ্ঞতার সারসংক্ষেপ তুলে ধরবেন। উপসংহার পড়ার পর যেন মনে হয়, এই বিষয়ে আপনার বক্তব্য পূর্ণতা পেলো। মনে রাখবেন উপসংহারে কোনোরকম নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করবেন না।

এছাড়াও প্রবন্ধ লেখার জন্য যে সকল বিষয়গুলি ফলো করার চেষ্টা করবেন, সেগুলি হল- 

ক. ভাষা- 
প্রবন্ধ কথাটির অর্থ‌ই হলো প্রকৃষ্ট বন্ধন।  তাই প্রবন্ধের ভাষা হবে সুগঠিত, তাই প্রবন্ধের ভাষা যথাসম্ভব সহজ সরল ও সাবলীল রাখার চেষ্টা করবেন।  

খ. যৌক্তিকতা-
প্রবন্ধের প্রাণ হলো যুক্তি। আপনার দৃষ্টিভঙ্গি ও মতামতকে যুক্তির দ্বারা উপস্থাপিত করতে হবে। পর পর যুক্তি সাজিয়ে প্রবন্ধকে সিদ্ধান্তের স্তরে নিয়ে যেতে হবে। যুক্তি সাজানোর জন্য তথ্যের সঠিক ব্যবহার করতে হবে। তথ্য আপনার যুক্তির প্রমাণ হিসেবে কাজ করবে।

গ. তথ্যনির্ভরতা-
তথ্য ছাড়া প্রবন্ধ কখনোই ভালো হতে পারে না। তাই আপনার সাধারণ জ্ঞান বাড়াতে হবে। আপনার সেই সাধারণ জ্ঞানকে প্রবন্ধে ব্যবহার করুন। এছাড়া সম্ভাব্য টপিকের উপর কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মুখস্থ রাখাও দরকার।

ঘ. সৃজনশীলতা- 
নিজের বুদ্ধি দিয়ে ঘটনার বিচার বিশ্লেষণ করুন এবং সেই বিশ্লেষণকেই রচনায় তুলে ধরুন।

পিডিএফ ফাইলটির ডাউনলোড লিংক নীচে দেওয়া আছে

File Details:
PDF Name : Essay in Bengali PDF
Language : Bengali
Size : 01 mb 
No. of Pages : 03
Download Link : Click Here To Download


Saturday, 7 June 2025

June 07, 2025

স্টেনোগ্রাফার কি | স্টেনোগ্রাফার এর কাজ কি

স্টেনোগ্রাফার কি | একজন স্টেনোগ্রাফারের কাজ কি | What Is a Stenographer Job

স্টেনোগ্রাফার কি | স্টেনোগ্রাফার এর কাজ কি
কলম ✏ 
সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আজকের এই প্রতিবেদনে স্টেনোগ্রাফার সম্পর্কে আলোচনা করলাম। যেটিতে স্টেনোগ্রাফার কি, একজন স্টেনোগ্রাফারের কাজ কি, স্টেনোগ্রাফার পদে চাকরির জন্য কি কি যোগ্যতা লাগে, স্টেনোগ্রাফারের বেতন কত ইত্যাদি সমস্ত কিছু উল্লেখিত আছে।

স্টেনোগ্রাফার কি ::

একজন স্টেনোগ্রাফার হলেন যিনি কথ্য শব্দ লিখিত আকারে প্রতিলিপিতে বিশেষজ্ঞ। অর্থাৎ একজন স্টেনোগ্রাফার হলেন এমন একজন ব্যক্তি যার কাজ হল অন্য কেউ যা বলে তা একটি সংক্ষিপ্ত চিহ্ন ব্যবহার করে দ্রুত লিখিত আকারে প্রতিলিপি করা।

বিভিন্ন সিনেমা বা টিভি শোতে আপনি হয়তো লক্ষ্য করেছেন কেউ একজন বিচারক, আইনজীবী এবং সাক্ষীরা আদালতের কক্ষে যা বলছে তা টাইপ করছে, সেই স্টেনোগ্রাফার। অর্থাৎ একজন স্টেনোগ্রাফার আদালতের প্রক্রিয়া চলাকালীন যা ঘটে তা রেকর্ড করেন।

স্টেনোগ্রাফার এর কাজ কি ::

একজন স্টেনোগ্রাফার এর কাজ হল স্টেনো মেশিনে একটি অনন্য সংক্ষিপ্ত লেখার শৈলী ব্যবহার করে একটি লিখিত শব্দচয়ন রেকর্ড করা। স্টেনোগ্রাফার বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করেন যেমন কোর্টরুম, কোনো আইনি কার্যক্রম কর্পোরেট অফিস, ইন্টেলিজেন্ট বিভাগ, সংবাদপত্র বা নিউজ চ্যানেল এবং প্রতিরক্ষা খাত ইত্যাদি।

স্টেনোগ্রাফি কি ::

স্টেনোগ্রাফি শর্টহ্যান্ড স্টেনোটাইপে লেখার প্রক্রিয়া, শর্টহ্যান্ড ব্যবহারের জন্য স্টেনোগ্রাফারদের দ্বারা ব্যবহৃত একটি বিশেষ কর্ডেড কীবোর্ড বা টাইপরাইটার।

স্টেনোগ্রাফি কে আবিষ্কার করেন ::

১৮৩৭ সালে স্যার আইজাক পিটম্যান স্টেনোগ্রাফি আবিষ্কার করেন।

স্টেনোগ্রাফারের বেতন কত ::

একজন এসএসসি স্টেনোগ্রাফারের মাসিক বেতন ৯,৩০০/- থেকে ৩৪,৮০০/- টাকা পর্যন্ত। এছাড়াও সঙ্গে বিভিন্ন সরকারী ভাতা প্রদান করা হয়ে থাকে।

এসএসসি স্টেনোগ্রাফার যোগ্যতা ::

যেকোনো স্বীকৃত বোর্ড থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করতে হবে এবং অবশ্যই স্টেনোগ্রাফি ডিগ্রী থাকতে হবে।

স্টেনোগ্রাফারের বয়সসীমা :: 

এসএসসি স্টেনোগ্রাফার পদে আবেদনের জন্য প্রার্থীর বয়স ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে হতে হবে।


Saturday, 10 May 2025

May 10, 2025

পলিটেকনিক কোর্স কি | যোগ্যতা, খরচ, কাজের সুবিধা

পলিটেকনিক কোর্স কি | যোগ্যতা, খরচ, কাজের সুবিধা | Polytechnic Course Details in Bengali

 
পলিটেকনিক কোর্স কি | যোগ্যতা, খরচ, কাজের সুবিধা | Polytechnic Course Details in Bengali
পলিটেকনিক কোর্স কি | যোগ্যতা, খরচ, কাজের সুবিধা
কলম 
সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আজকের প্রতিবেদনে পলিটেকনিক কোর্স সম্বন্ধে বিস্তারিত আলোচনা করলাম। যেখানে পলিটেকনিক কোর্স কি, পলিটেকনিকে ভর্তির যোগ্যতা, পলিটেকনিক পড়ার খরচ, পলিটেকনিকে পড়ার সুবিধা তথা কাজের সুবিধা, পলিটেকনিক কোর্সের তালিকা ইত্যাদি সমস্ত কিছু উল্লেখিত আছে।

পলিটেকনিক কোর্স কি?

পলিটেকনিক হল তিন বছরের একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স। এই কোর্স শেষ করার পর ইঞ্জিনিয়ারিং এর ডিপ্লোমা লাভ করা যায়। পলিটেকনিক কোর্স শেষ করার পর ছাত্রছাত্রীরা চাকরির চেষ্টা করতে পারে অথবা ইঞ্জিনিয়ারিং এ গ্র্যাজুয়েশন করতে করতে পারে।

পলিটেকনিক কোর্স কত বছরের?

সাধারণত পলিটেকনিক কোর্সগুলি তিন বছরের হয়ে থাকে।

পলিটেকনিক কোর্সের তালিকা


  • সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং
  • মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং
  • ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং
  • কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং
  • কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং
  • ইলেকট্রনিক অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং
  • ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং
  • অটোমোবাইল

পলিটেকনিকে ভর্তির যোগ্যতা

পলিটেকনিক কোর্সে ভর্তি হতে গেলে ন্যূনতম ৩৫ শতাংশ নম্বর নিয়ে মাধ্যমিক পাশ করতে হবে। পলিটেকনিক কোর্সে আবেদনের জন্য নির্দিষ্ট কোন বয়সসীমা নেই।

সরকারি পলিটেকনিক ভর্তির যোগ্যতা


সরকারি পলিটেকনিক কলেজে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীদের JEXPO (জয়েন্ট এন্ট্রান্স এক্সামিনেশন ফর পলিটেকনিক্স) এন্ট্রান্স পরীক্ষা দিতে হয়। এই এন্ট্রান্স পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে একটি মেধা তালিকা তৈরি করা হয়। আর এই মেধা তালিকা অনুসারে শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দ মতো স্ট্রিম এবং কলেজ নির্বাচন করতে পারবে।

বেসরকারি পলিটেকনিক ভর্তি যোগ্যতা

বেসরকারি পলিটেকনিক কলেজে JEXPO এন্ট্রান্স পরীক্ষা না দিয়ে সরাসরি ভর্তি হওয়া যায়।

JEXPO পরীক্ষা

JEXPO পরীক্ষাটি ১০০ নম্বরের হয়, মোট ৫টি বিষয় (কেমিস্ট্রি-১০, ফিজিক্স-১০, ম্যাথমেটিক্স-৪০, ইংলিশ-২০, অ্যাপটিটিউড-২০) থেকে প্রশ্ন আসে এবং সময়সীমা থাকে ২ ঘণ্টা। প্রশ্নগুলি MCQ টাইপ হয়ে থাকে ও একটি প্রশ্নের ৪টি করে বিকল্প উত্তর দেওয়া থাকে। পরীক্ষাটি বাংলা ও ইংরেজি এই দুটি ভাষায় অফলাইনে হয়ে থাকে।

পলিটেকনিক ভর্তি পরীক্ষার বিষয় কি কি?

কেমিস্ট্রি, ফিজিক্স, ম্যাথমেটিক্স, ইংলিশ এবং অ্যাপটিটিউড।

পলিটেকনিক পড়ার খরচ

সরকারি পলিটেকনিক কলেজে পড়ার খরচ অনেকটাই কম, শুধুমাত্র হোস্টেলে থাকা ও খাওয়ার খরচটুকু লাগে।

বেসরকারি পলিটেকনিক খরচ

বেসরকারি পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে পড়ার খরচ অনেকটাই বেশি। বেসরকারি পলিটেকনিক কলেজ থেকে কোর্স করলে প্রায় ৫০,০০০ থেকে ২ লাখ টাকা বা তারও বেশি খরচ হতে পারে।

পলিটেকনিকে পড়ার সুবিধা


পলিটেকনিক কোর্স শেষে বিদ্যুৎ বিভাগ, ভারতীয় রেল, রাইফেল ফ্যাক্টরি প্রভৃতি সরকারী ক্ষেত্রগুলিতে জুনিয়ার ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে চাকরির সুবিধা রয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন বেসরকারি কোম্পানিগুলিতেও সহজে চাকরি পাওয়া যায়।


Thursday, 8 May 2025

May 08, 2025

ITI কোর্স কি | ITI কোর্সে কি কি কাজের সুবিধা রয়েছে

আইটিআই কোর্স কি | আইটিআই কোর্সে কি কি কাজের সুবিধা রয়েছে | ITI Course Details in Bengali

আইটিআই কোর্স কি | আইটিআই কোর্সে কি কি কাজের সুবিধা রয়েছে | ITI Course Details in Bengali
ITI কোর্স কি | ITI কোর্সে কি কি কাজের সুবিধা রয়েছে
কলম 
সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আজকের এই প্রতিবেদনে ITI কোর্স সম্পর্কে আলোচনা করলাম। যেটিতে ITI কোর্স কি, ITI কোর্সের সময়কাল কত?, ITI কোর্সে ভর্তির যোগ্যতা কি?, ITI কোর্সে ভর্তির ফি কত?, ITI কোর্সে কি কি কাজের সুবিধা রয়েছে? ইত্যাদি সমস্ত কিছু উল্লেখিত আছে। এই প্রতিবেদনটি আপনাদের আইটিআই কোর্স সম্পর্কে একটা স্বচ্ছ ধারণা গঠনে সাহায্য করবে।

আইটিআই এর পুরো নাম কি?

আইটিআই এর পুরো নাম ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট।

আইটিআই কি?

আইটিআই যার পুরো কথা ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট। যেটি ভারত সরকারের শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় দ্বারা পরিচালিত, যা শিক্ষার্থীদের শিল্প সংক্রান্ত বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করে। আইটিআই এর আয়োজক হল- ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড ট্রেনিং। 

আইটিআই কোর্স কি?

আইটিআই তথা ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট একটি সরকারী প্রশিক্ষণ সংস্থা। যা শিক্ষার্থীদের বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ প্রদান করে। ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে যে কোর্সগুলি শেখানো হয়, সেগুলিকেই আইটিআই কোর্স বলে। আইটিআই কোর্সের মূল লক্ষ্য শিক্ষার্থীদের শিল্প সংক্রান্ত বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া এবং তাদের কর্মজীবন প্রস্তুত করতে সাহায্য করা।

আইটিআই কোর্সের সময়কাল কত?

আইটিআই কোর্সের সময়কাল ৬ মাস থেকে ২ বছর পর্যন্ত। বিভিন্ন কোর্স অনুযায়ী আইটিআই কোর্সের সময়কাল নির্ভর করে।

আইটিআই কোর্সে ভর্তির যোগ্যতা কি?

আইটিআই কোর্সে ভর্তির দুটি গ্রুপ রয়েছে; একটি E গ্রুপ এবং অন্যটি M গ্রুপ। E গ্রুপের জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণি পাশ এবং M গ্রুপের জন্য মাধ্যমিক পাশ।  

এছাড়াও আইটিআই কোর্সে ভর্তির নির্দিষ্ট একটি বয়সসীমা রয়েছে। আইটিআই কোর্সে ভর্তির জন্য ১৪ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে বয়স হতে হবে।

আইটিআই কোর্স কটি ভাগে বিভক্ত?

কোর্সের ভিত্তিতে সমগ্র আইটিআই দুটি ভাগে বিভক্ত। একটি হল ইঞ্জিয়ারিং ট্রেড এবং অন্যটি হল নন-ইঞ্জিয়ারিং ট্রেড। নীচে যোগ্যতা ও সময়কাল অনুযায়ী সমস্ত কোর্সের নাম উল্লেখ করা হল- 

  • WELDER (NSQF) - (8th Pass, 1 Yr)
  • PLUMBER (NSQF) - (8th Pass, 1 Yr)
  • WIREMAN (NSQF) - (8th Pass, 2 Yrs)
  • PAINTER GENERAL (NSQF) - (8th Pass, 2 Yrs)
  • MASON (BUILDING CONSTRUCTOR) (NSQF) - (8th Pass, 1 Yr)
  • BAMBOO WORKS (NSQF) - (8th Pass, 1 Yr)
  • SHEET METAL WORKER (NSQF) - (8th Pass, 1 Yr)
  • CARPENTER (NSQF) - (8th Pass, 1 Yr)
  • DRESS MAKING (NSQF) - (8th Pass, 1 Yr)
  • WELDER (PIPE) (NSQF) - (8th Pass, 1 Yr)
  • FOOTWEAR MAKER (NSQF) - (8th Pass, 1 Yr)
  • SEWING TECHNOLOGY (NSQF) - (8th Pass, 1 Yr)
  • LEATHER GOODS MAKER (NSQF) - (8th Pass, 1 Yr)
  • CIVIL ENGINEERING ASSISTANT (NSQF) - (10th Pass, 2 Yrs)
  • COMPUTER AIDED EMBROIDERY AND DESIGNING (NSQF) - (10th Pass, 1 Yr)
  • DESK TOP PUBLISHING OPERATOR (NSQF) - (10th Pass, 1 Yr)
  • DRAUGHTSMAN (MECHANICAL) (NSQF) - (10th Pass, 2 Yrs)
  • BAKER AND CONFECTIONER (NSQF) - (10th Pass, 1 Yr)
  • EARLY CHILDHOOD EDUCATOR (NSQF) - (10th Pass, 1 Yr)
  • FASHION DESIGN & TECHNOLOGY (NSQF) - (10th Pass, 1 Yr)
  • COMPUTER OPERATOR AND PROGRAMMING ASSISTANT (NSQF) - (10th Pass, 1 Yr)
  • COSMETOLOGY (NSQF) - (10th Pass, 1 Yr)
  • FOOD & BEVERAGES SERVICES ASSISTANT (NSQF) - (10th Pass, 1 Yr)
  • FOOD BEVERAGE (NSQF) - (10th Pass, 1 Yr)
  • FOOD PRODUCTION (GENERAL) (NSQF) - (10th Pass, 1 Yr)
  • DRAUGHTSMAN CIVIL (NSQF) - (10th Pass, 2 Yrs)
  • FRONT OFFICE ASSISTANT (NSQF) - (10th Pass, 1Yrs)
  • FRUIT AND VEGETABLE PROCESSOR (NSQF) - (10th Pass, 1 Yr)
  • HEALTH SANITARY INSPECTOR (NSQF) - (10th Pass, 1 Yr)
  • INFORMATION TECHNOLOGY (NSQF) - (10th Pass, 2 Yrs)
  • HORTICULTURE (NSQF) - (10th Pass, 1 Yr)
  • INSTRUMENT MECHANIC (CHEMICAL PLANT) (NSQF) - (10th Pass, 2Yrs)
  • INSTRUMENT MECHANIC (NSQF) - (10th Pass, 2 Yrs)
  • INTERIOR DESIGN & DECORATION (NSQF) - (10th Pass, 1 Yr)
  • MACHINIST (GRINDER) (NSQF) - (10th Pass, 2 Yrs)
  • LIFT AND ESCALATOR MECHANIC (NSQF) - (10th Pass, 2 Yrs)
  • FIRE TECHNOLOGY AND INDUSTRIAL SAFETY MANAGEMENT (NSQF) - (10th Pass, 1 Yr)
  • ELECTRICIAN (NSQF) - (10th Pass, 2 Yrs)
  • INFORMATION & COMMUNICATION TECHNOLOGY SYSTEM MAINTENANCE (NSQF) - (10th Pass, 2 Yrs)
  • MACHINIST (NSQF) - (10th Pass, 2 Yrs)
  • TOOL & DIE MAKER (PRESS TOOLS,JIGS & FIXTURES) (NSQF) - (10th Pass, 2 Yrs)
  • PRE/PREPARATORY SCHOOL MANAGEMENT (ASSISTANT) - (10th Pass, 1 Yr)
  • ATTENDANT OPERATOR (CHEMICAL PLANT) (NSQF) - (10th Pass, 2 Yrs)
  • MULTIMEDIA ANIMATION & SPECIAL EFFECTS (NSQF) - (10th Pass, 1 Yr)
  • MECHANIC DIESEL (NSQF) - (10th Pass, 1 Yr)
  • TOOL & DIE MAKER (DIES & MOULDS) (NSQF) - (10th Pass, 2Yrs)
  • SOLAR TECHNICIAN (ELECTRICAL) (NSQF) - (10th Pass, 1 Yr)
  • METAL CUTTING ATTENDANT (VI) (NSQF) - (10th Pass, 2 Yrs)
  • COMPUTER HARDWARE & NETWORK MAINTENANCE (NSQF) - (10th Pass, 1 Yr)
  • SURVEYOR (NSQF) - (10th Pass, 2 Yrs)
  • TURNER (NSQF) - (10th Pass, 2 Yrs)
  • TECHNICIAN POWER ELECTRONICS SYSTEM (NSQF) - (10th Pass, 2 Yrs)
  • COMPUTER OPERATOR & PROGRAMMING ASSISTANT (VI) (NSQF) - (10th Pass, 1 Yr)
  • ELECTRONICS MECHANIC (NSQF) - (10th Pass, 2 Yrs)
  • SMARTPHONE TECHNICIAN CUM APP TESTER (NSQF) - (10th Pass, 6 Months)
  • SECRETARIAL PRACTICE (ENGLISH) (NSQF) - (10th Pass, 1 Yr)
  • MECHANIC AUTO BODY REPAIR (NSQF) - (10th Pass, 1 Yr)
  • MECHANIC MOTOR CYCLE (NSQF) - (10th Pass, 1 Yr)
  • FITTER (NSQF) - (10th Pass, 2 Yrs)
  • PLASTIC PROCESSING OPERATOR (NSQF) - (10th Pass, 1 Yr)
  • AGRO PROCESSING (NSQF) - (10th Pass, 1 Yr)
  • FOUNDRYMAN (NSQF) - (10th Pass, 1 Yr)
  • LABORATORY ASSISTANT-CHEMICAL PLANT (NSQF) - (10th Pass, 2 Yrs)
  • STENOGRAPHER SECRETARIAL ASSISTANT (ENGLISH) (NSQF) - (10th Pass, 1 Yr)
  • IOT TECHNICIAN (SMART CITY) - (10th Pass, 1 Yr)
  • BASIC COSMETOLOGY - (10th Pass, 2 Yrs)
  • ARCHITECTURAL ASSISTANT - (10th Pass, 2 Yrs)
  • PUMP OPERATOR - (10th Pass, 1 Yr)
  • MECHANIC (MOTOR VEHICLE) (NSQF) - (10th Pass, 2 Yrs)
  • MECHANIC AUTO BODY PAINTING (NSQF) - (10th Pass, 1 Yr)
  • ARCHITECTURAL DRAUGHTSMAN (NSQF) - (10th Pass, 2 Yrs)
  • HOUSE KEEPER (NSQF) - (10th Pass, 1 Yr)
  • MAINTENANCE MECHANIC (CHEMICAL PLANT) (NSQF) - (10th Pass 2 Yrs)
  • MECHANIC AGRICULTURE MACHINERY (NSQF) - (10th Pass, 2 Yrs)
  • REFRIGERATION AND AIR CONDITIONER TECHNICIAN (NSQF) - (10th Pass, 2 Yrs)

আইটিআই কোর্সে ভর্তির ফি কত?

আইটিআই কোর্সে ভর্তির ফি ইঞ্জিনিয়ারিং এবং নন-ইঞ্জিনিয়ারিং ট্রেডসের জন্য ভিন্ন হয়ে থাকে। তবে সাধারণত এডমিশন ফি ২০০০/- থেকে ১০,০০০/- টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। 

আইটিআই কোর্সে ভর্তির আবেদন পদ্ধতি কি?

ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট কাউন্সিল ফর ভোকেশনাল ট্রেনিং –এর অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে অনলাইন মাধ্যমে আবেদন করতে হয়।

আইটিআই কোর্সে কি কি কাজের সুবিধা রয়েছে?

আইটিআই কোর্স করার পর ভারতীয় রেল, রাইফেল ফ্যাক্টরি প্রভৃতি সরকারী ক্ষেত্রগুলিতে চাকরির সুবিধা রয়েছে। বেসরকারি ইন্ডাস্ট্রি ও কোম্পানিগুলিতে বিভিন্ন কাজ পাওয়া যায়। এছাড়াও টিভি, এসি, ফ্রিজ বা অন্যান্য ইলেকট্রনিক কাজকর্ম করার সুবিধে রয়েছে।

কিভাবে আইটিআই কলেজে শিক্ষার্থী নির্বাচন করা হয়?

মেধা তালিকার ভিত্তিতে শিক্ষার্থী নির্বাচন করা হয়ে থাকে। 


Saturday, 3 May 2025

May 03, 2025

মাধ্যমিক পাশে কি কি সরকারি চাকরি পাওয়া যায় | মাধ্যমিক পাশে কি কি চাকরি আছে

মাধ্যমিক পাশে কি কি সরকারি চাকরি পাওয়া যায় | মাধ্যমিক পাশে কি কি চাকরি আছে | Government Jobs After 10th Pass

মাধ্যমিক পাশে কি কি সরকারি চাকরি পাওয়া যায় | মাধ্যমিক পাশে কি কি চাকরি আছে | Government Jobs After 10th Pass
মাধ্যমিক পাশে কি কি সরকারি চাকরি পাওয়া যায় | মাধ্যমিক পাশে কি কি চাকরি আছে
কলম 
সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আজকের প্রতিবেদনে মাধ্যমিক পাশে কি কি সরকারি চাকরি পাওয়া যায় তথা মাধ্যমিক পাশে কি কি চাকরি আছে সেগুলি সম্পর্কে আলোচনা করলাম। মাধ্যমিক পাশ যোগ্যতায় কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের একাধিক চাকরি রয়েছে। নীচে সেই সমস্ত চাকরির নাম এবং এই চাকরিতে নিয়োগ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি উল্লেখ করা হল।

মাধ্যমিক পাশে কি কি সরকারি চাকরি পাওয়া যায়

গ্রামীণ ডাক সেবক

  • বয়সসীমা- ১৮ থেকে ৪০ বছর
  • মাসিক বেতন- ১০,০০০/- থেকে ২৪,৪৭০/- টাকা পর্যন্ত 
  • রিক্রুটমেন্ট বোর্ড- ভারতীয় ডাক বিভাগ
  • অফিশিয়াল ওয়েবসাইট- indiapostgdsonline.gov.in

পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ কনস্টেবল

  • বয়সসীমা- ১৮ থেকে ২৭ বছর 
  • মাসিক বেতন- ২২,৫০০/- থেকে ৫৮,৫০০/- টাকা পর্যন্ত 
  • রিক্রুটমেন্ট বোর্ড- পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ রিক্রুটমেন্ট বোর্ড
  • অফিশিয়াল ওয়েবসাইট- wbpolice.gov.in

কলকাতা পুলিশ কনস্টেবল

  • বয়সসীমা- ১৮ থেকে ২৭ বছর
  • মাসিক বেতন- ২২,৭০০/- থেকে ৫৮,৫০০/- টাকা পর্যন্ত
  • রিক্রুটমেন্ট বোর্ড- পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ রিক্রুটমেন্ট বোর্ড
  • অফিশিয়াল ওয়েবসাইট- wbpolice.gov.in

এসএসসি জিডি কনস্টেবল

  • বয়সসীমা- ১৮ থেকে ২৩ বছর
  • মাসিক বেতন- ২১,৭০০/- থেকে ৬৯,১০০/- টাকা পর্যন্ত
  • রিক্রুটমেন্ট বোর্ড- স্টাফ সিলেকশন কমিশন
  • অফিশিয়াল ওয়েবসাইট- ssc.nic.in

রেলওয়ে গ্রুপ ডি

  • বয়সসীমা- ১৮ থেকে ৩৩ বছর
  • মাসিক বেতন- ২২,০০০/- থেকে ২৫,০০০/- টাকা পর্যন্ত
  • রিক্রুটমেন্ট বোর্ড- রেলওয়ে রিক্রুটমেন্ট বোর্ড
  • অফিশিয়াল ওয়েবসাইট- indianrailways.gov.in

ফুড সাব ইন্সপেক্টর

  • বয়সসীমা- ১৮ থেকে ৪০ বছর
  • মাসিক বেতন- ২২,৭০০/- থেকে ৫৮,৫০০/- টাকা পর্যন্ত
  • রিক্রুটমেন্ট বোর্ড- পশ্চিমবঙ্গ পাবলিক সার্ভিস কমিশন
  • অফিশিয়াল ওয়েবসাইট- psc.wb.gov.in

ক্লার্কশিপ

  • বয়সসীমা- ১৮ থেকে ৪০ বছর
  • মাসিক বেতন- ২২,৭০০/- থেকে ৫৮,৫০০/- টাকা পর্যন্ত
  • রিক্রুটমেন্ট বোর্ড- পশ্চিমবঙ্গ পাবলিক সার্ভিস কমিশন
  • অফিশিয়াল ওয়েবসাইট- psc.wb.gov.in

কৃষি প্রযুক্তি সহায়ক

  • বয়সসীমা- ১৮ থেকে ৪০ বছর
  • মাসিক বেতন- ৫,৪০০/- থেকে ২৫,২০০/- টাকা পর্যন্ত
  • রিক্রুটমেন্ট বোর্ড- পশ্চিমবঙ্গ পাবলিক সার্ভিস কমিশন
  • অফিশিয়াল ওয়েবসাইট- psc.wb.gov.in

গ্রুপ ডি

  • বয়সসীমা- ১৮ থেকে ৪০ বছর
  • মাসিক বেতন- ২০,০৫০/- টাকা
  • রিক্রুটমেন্ট বোর্ড- পশ্চিমবঙ্গ স্কুল সার্ভিস কমিশন
  • অফিশিয়াল ওয়েবসাইট- westbengalssc.com

এসএসসি এমটিএস

  • বয়সসীমা- ১৮ থেকে ২৫ বছর
  • মাসিক বেতন- ১৬,৯১৫/- থেকে ২০,২৪৫/- টাকা পর্যন্ত
  • রিক্রুটমেন্ট বোর্ড- স্টাফ সিলেকশন কমিশন
  • অফিশিয়াল ওয়েবসাইট- ssc.nic.in


Friday, 2 May 2025

May 02, 2025

মাধ্যমিকের পর কী নিয়ে পড়ব | সাইন্স, আর্টস নাকি কমার্স

মাধ্যমিকের পর কী নিয়ে পড়ব | সাইন্স, আর্টস নাকি কমার্স | Best Career Options After Passing Madhyamik Exam

মাধ্যমিকের পর কী নিয়ে পড়ব | সাইন্স, আর্টস নাকি কমার্স | Best Career Options After Passing Madhyamik Exam
মাধ্যমিকের পর কী নিয়ে পড়ব | সাইন্স, আর্টস নাকি কমার্স
কলম ✏ 
সুপ্রিয় বন্ধুরা,
প্রতিটি শিক্ষার্থীর জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা হল মাধ্যমিক পরীক্ষা। আর এই মাধ্যমিক পরীক্ষার পরেই যে প্রশ্নটি মাথায় আসে সেটি হল মাধ্যমিকের পর কী নিয়ে পড়ব? তথা মাধ্যমিকের পর কী নিয়ে পড়লে ভালো হবে? মাধ্যমিকের পর পড়াশোনা তিনটি বিভাগে ভাগ হয়ে যায়; সাইন্স, আর্টস এবং কমার্স। এবার প্রশ্ন সাইন্স, আর্টস না কমার্স কি নিয়ে পড়বে?

আমরা এই আর্টিকেলটির মধ্যে আর্টসের মধ্যে কি কি বিষয় আছে এবং আর্টস নিয়ে পড়লে কি কি চাকরি পাওয়া যায়, কমার্সের মধ্যে কি কি বিষয় আছে এবং কমার্স নিয়ে পড়লে কি হওয়া যায়, সাইন্সের মধ্যে কি কি বিষয় আছে এবং সাইন্স নিয়ে পড়লে কি হওয়া যায় ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা আছে। 

আর্টস এর সাবজেক্ট কি কি? 

  • ইতিহাস
  • ভুগোল
  • এডুকেশন
  • সংস্কৃত
  • রাষ্ট্রবিজ্ঞান
  • সমাজবিজ্ঞান
  • সাইকোলজি
  • অর্থনীতি
  • পরিবেশ বিদ্যা
  • পুষ্টি বিজ্ঞান
  • মিউজিক
  • ফাইন আর্টস
  • শারীরশিক্ষা

আর্টস নিয়ে পড়লে কি কি চাকরি পাওয়া যায়?

আর্টস বিভাগে পড়াশোনা করে যে যে ক্যারিয়ার অপশনগুলি পাওয়া যায়, সেগুলি হল- শিক্ষক, অধ্যাপক, গবেষক, লেখক, সাংবাদিক, প্রকাশক, ভাষাবিদ, আইনজীবী, সমাজকর্মী, রাজনৈতিক কর্মী, ব্যবস্থাপক, বিশ্লেষক, কূটনীতিক ইত্যাদি। 

সাইন্স এর সাবজেক্ট কি কি?

  • গণিত
  • পদার্থবিজ্ঞান
  • রসায়ন বিজ্ঞান
  • জীববিজ্ঞান 
  • পরিবেশ বিজ্ঞান
  • বায়োটেকনোলজি
  • কম্পিউটার সাইন্স
  • ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রাফিক্স 
  • জিওলজি

সাইন্স নিয়ে পড়লে কি কি হওয়া যায়?

সাইন্স বিভাগে পড়াশোনা করে ডাক্তার ও ইঞ্জিনিয়ার ছাড়াও কৃষি গবেষক, পরিসংখ্যানবিদ, রসায়নবিদ, পদার্থবিজ্ঞানী, গণিতবিদ, প্রাণীবিজ্ঞানী, উদ্ভিদবিজ্ঞানী, মনোবিজ্ঞানী, পরিবেশ বিজ্ঞানী, ফার্মাসিস্ট ইত্যাদি আরো অনেক কিছু হওয়া যায়।

যারা ডাক্তারি লাইনে তথা মেডিকেল নিয়ে পড়তে ইচ্ছুক তাদের একাদশ শ্রেণিতে পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন বিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান প্রধান বিষয় হিসাবে রাখতে হবে। মেডিকেলে সফলতার জন্য জীববিজ্ঞান বিষয়টি খুব ভালোভাবে পড়তে হবে। মেডিকেল লাইনে পড়াশোনা করে যে যে ক্যারিয়ার অপশনগুলি পাওয়া যায়, সেগুলি হল- ডাক্তার, ডেন্টিস, ভেটেনারি, আয়ুর্বেদ, হোমিওপ্যাথি, ফুড টেকনোলজি, হার্টি কালচার, মেডিসিন ইত্যাদি। 

যারা ইঞ্জিনিয়ারিং লাইনে পড়তে ইচ্ছুক তাদের একাদশ শ্রেণিতে পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন বিজ্ঞান এবং গণিত বিষয়গুলি থাকা বাধ্যতামূলক। ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার জন্য পদার্থবিজ্ঞান এবং গণিত বিষয়ে দক্ষ হওয়া প্রয়োজন। ইঞ্জিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করে যে যে ক্যারিয়ার অপশনগুলি পাওয়া যায়, সেগুলি হল- সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং ইত্যাদি। 

কমার্স এর সাবজেক্ট কি কি?

  • অ্যাকাউন্টেন্সি
  • ইকোনমিক 
  • বিজনেস স্টাডিজ
  • গণিত 
  • ইনফোরম্যাটিক্স প্র্যাকটিসেস 
  • ম্যানেজমেন্ট
  • বিজনেস ফাইন্যান্স
  • মার্কেটিং

কমার্স নিয়ে পড়লে কি কি হওয়া যায়?

কমার্স নিয়ে পড়াশোনা করে যে যে ক্যারিয়ার অপশনগুলি পাওয়া যায়, সেগুলি হল- ব্যাংকার, একাউন্টেন্ট, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট, ফিনান্সিয়াল প্লানার, ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্টিং, অ্যাকচুয়ারি, ভেঞ্চার ক্যাপিটালিস্ট, এগ্রিকালচার ইকোনমিক্স, প্রোডাক্ট ম্যানেজার, সেলস ম্যানেজার, লোন এক্সিকিউটিভ ইত্যাদি। 

উপরোক্ত তিনটি বিভাগ ছাড়াও আরও কিছু কোর্স রয়েছে, সেগুলি করে সুন্দর ভবিষ্যৎ তৈরি করা যায়-

ITI (Industrial Training Institute)-

আইটিআই যার পুরো কথা ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট। এটি একটি শিক্ষামূলক প্রতিষ্ঠান, যা শিক্ষার্থীদের বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ প্রদান করে। এটি একটি সরকার ভিত্তিক প্রশিক্ষণ সংস্থা। বর্তমানে চাকরিমুখী বিভিন্ন ITI কোর্সগুলি হল-

  • সিভিল ইঞ্জিনিয়ার
  • ড্রাপস অফ মেকালিক্যাল
  • ইলেক্ট্রিশিয়ান 
  • অটো ইলেক্ট্রিশিয়ান 
  • কম্পিউটার হার্ডওয়ার 
  • ফ্রিটার 
  • নেটওয়াকিং

Polytechnic Course- 

পলিটেকনিক কোর্স হল একটি ডিপ্লোমা কোর্স। এটি তিন বছরের একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স। পলিটেকনিক কোর্স শেষ করার পর ছাত্রছাত্রীরা সরকারি অথবা বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতে পারে। জনপ্রিয় পলিটেকনিক কোর্সগুলি হল-

  • ডিপ্লোমা ইন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং
  • ডিপ্লোমা ইন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং
  • ডিপ্লোমা ইন বায়োটেকনোলজি ইঞ্জিনিয়ারিং
  • ডিপ্লোমা ইন ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং
  • ডিপ্লোমা ইন অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারিং
  • ডিপ্লোমা ইন কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং
  • ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং 
  • ডিপ্লোমা ইন অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং

এছাড়াও প্যারাম্যডিক্যাল, হোটেল ম্যানেজমেন্ট, হাউস কিপিং, হোটেল অপারেশন কোর্স ইত্যাদি। 

Friday, 24 May 2024

May 24, 2024

জেক্সপো পরীক্ষা 2024 | যোগ্যতা, আবেদনের তারিখ, আবেদন ফি, আবেদন পদ্ধতি

জেক্সপো পরীক্ষা 2024 | যোগ্যতা, আবেদনের তারিখ, আবেদন ফি, আবেদন পদ্ধতি | JEXPO Form Fill Up 2024 Last Date West Bengal Board

জেক্সপো পরীক্ষা 2024 | যোগ্যতা, আবেদনের তারিখ, আবেদন ফি, আবেদন পদ্ধতি
জেক্সপো পরীক্ষা 2024 | যোগ্যতা, আবেদনের তারিখ, আবেদন ফি, আবেদন পদ্ধতি
কলম 
সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আজকের পোস্টে জেক্সপো পরীক্ষা 2024 সম্পর্কে আলোচনা করলাম। যেটিতে জেক্সপো পরীক্ষা কি, আবেদনের তারিখ, আবেদনের যোগ্যতা, আবেদন ফি, আবেদন পদ্ধতি ইত্যাদি সমস্ত উল্লেখিত আছে।

জেক্সপো পরীক্ষা 2024

জেক্সপো পরীক্ষা

সরকারি পলিটেকনিক কলেজে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীদের JEXPO (জয়েন্ট এন্ট্রান্স এক্সামিনেশন ফর পলিটেকনিক্স) এন্ট্রান্স পরীক্ষা দিতে হয় এবং এই এন্ট্রান্স পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে একটি মেধা তালিকা তৈরি করা হয়। আর এই মেধা তালিকা অনুসারে শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দ মতো স্ট্রিম এবং কলেজ নির্বাচন করতে পারবে।

তবে এই বছর কোনো এন্ট্রান্স পরীক্ষা নেওয়া হবেনা। শুধুমাত্র মাধ্যমিক পরীক্ষার নম্বরের ওপর ভিত্তি করে মেধা তালিকা প্রকাশ করা হবে এবং এই মেধা তালিকা অনুসারেই সরকারি পলিটেকনিক কলেজে ভর্তি নেওয়া হবে। 

আবেদনের তারিখ

জেক্সপো রেজিস্ট্রেশন ২৩শে ফেব্রুয়ারি ২০২৪ তারিখ থেকে শুরু হয়েছে এবং ফি প্রদান, ডকুমেন্টস আপলোড সহ আবেদনের শেষ তারিখ ৩১শে মে ২০২৪ (আবেদনের শেষ তারিখ ১৫মে ছিল, সেটা বাড়িয়ে ৩১শে মে করা হয়েছে)। 

আবেদনের যোগ্যতা

আবেদনকারীকে অবশ্যই ভারতীয় নাগরিক হতে হবে এবং যেকোনো স্বীকৃত বোর্ড থেকে ন্যূনতম ৩৫% নম্বর নিয়ে দশম শ্রেণির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। 

বয়সসীমা

পলিটেকনিক কোর্সে আবেদনের জন্য বয়সের কোন ঊর্ধ্বসীমা নেই, তবে প্রার্থীর জন্ম তারিখ ০১.০৭.২০০৯ এর পরে হওয়া যাবে না।

আবেদন ফি

আবেদন ফি ৪৫০/- টাকা, তবে কন্যাশ্রী নথিভুক্তদের জন্য ২২৫/- টাকা। 

প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস

মাধ্যমিকের মার্কশিট, মাধ্যমিকের অ্যাডমিট কার্ড, আধার কার্ড, পাসপোর্ট সাইজ ফটো। 

আবেদন পদ্ধতি

অনলাইন মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।

অফিশিয়াল ওয়েবসাইট- https://scvtwb.in/

Thursday, 15 February 2024

February 15, 2024

পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্য | Seven Wonders of the World

পৃথিবীর নতুন সপ্তম আশ্চর্য PDF | পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্য গুলো কি কি | Seven Wonders of the World

পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্য | Seven Wonders of the World
পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্য
কলম 
সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আজকের পোস্টে পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্য তালিকা PDF টি শেয়ার করলাম। যেটিতে পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্য গুলো কি কি এবং পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্যের নাম ও ছবি দেওয়া আছে। সুতরাং পোস্টটি ভালো করে দেখে নাও এবং প্রয়োজনে পিডিএফ ফাইলটি সংগ্রহ করে নাও।

পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্য গুলো কি কি -

০১. চীনের মহাপ্রাচীর (The Great Wall of China) – চীন

০২. পেত্রা (Petra) – জর্ডন

০৩. দ্য রোমান কলোসিয়াম (The Roman Colosseum) – ইতালি

০৪. চিচেন ইৎজা (Chichen Itza) – মেক্সিকো

০৫. মাচু পিচু (Machu Picchu) – পেরু

০৬. তাজমহল (Taj Mahal) – ভারত

০৭. ক্রাইস্ট দ্য রিডিমার মূর্তি (Christ the Redeemer Statue) – ব্রাজিল


সংক্ষিপ্ত ইতিহাস -

০১. চীনের মহাপ্রাচীর (The Great Wall of China) – চীন :
চীনের মহাপ্রাচীর (The Great Wall of China)
চীনের মহাপ্রাচীর

চীনে অবস্থিত এই মহাপ্রাচীরটি হল পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রাচীর। চীনের উত্তর সীমান্ত রক্ষার জন্য এই প্রাচীরটি নির্মিত হয়। কিন শি হুয়াং এর সময়ে এটির নির্মাণপর্ব সমাপ্ত হয় (২২০-২০৬ খ্রিস্ট পূর্বাব্দ), এটির দৈর্ঘ্য হল ২১,১৯৬ কিলোমিটার।

০২. পেত্রা (Petra) – জর্ডান :
পেত্রা (Petra) – জর্ডন
পেত্রা

এই আশ্চর্য পেত্রা জর্ডানের দক্ষিণ-পশ্চিমের শহর ওয়াদি মুসার ঠিক পূর্বে হুর পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত। ৪০০ খ্রিস্ট পূর্বাব্দ থেকে ২০০ খ্রিস্ট পূর্বাব্দ পর্যন্ত এটি ছিল নাবাতীয় রাজ্যের রাজধানী। একসময় এই পেত্রা নগরী মূলত একটি অত্যন্ত সুরক্ষিত দুর্গ ছিল। এটি বিখ্যাত এর অসাধারণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর গুরুত্বপূর্ণ স্মৃতিস্তম্ভগুলোর জন্য। ১৯৮৫ সালে ইউনেস্কো পেত্রাকে ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট’ হিসেবে ঘোষনা করে।

০৩. দ্য রোমান কলোসিয়াম (The Roman Colosseum) – ইতালি :
দ্য রোমান কলোসিয়াম (The Roman Colosseum) – ইতালি
দ্য রোমান কলোসিয়াম

ইতালির রোম শহরে অবস্থিত একটি বৃহৎ ছাদবিহীন মঞ্চ। এটি সাধারনত বিভিন্ন প্রদর্শনী এবং কোনো প্রতিযোগিতার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছিল বলে ধারনা করা হয়। ৭০ থেকে ৭২ খ্রিস্টাব্দে কোন এক মাসে কোনো এক সময় এটি নির্মানের কাজ শুরু হয়েছিল। ৮০ খ্রিস্টাব্দে সম্রাট তিতুসের রাজত্ব কালে এর কাজ সম্পন্ন হয়। কলোসিয়ামের উচ্চতা ৪৮ মিটার, দৈর্ঘ্য ১৮৮ মিটার এবং চওড়া ১৫৬ মিটার।

০৪. চিচেন ইৎজা (Chichen Itza) – মেক্সিকো :
চিচেন ইৎজা (Chichen Itza) – মেক্সিকো
চিচেন ইৎজা

চিচেন ইৎজা মেক্সিকোর উত্তরে ইউকাটান উপদ্বীপে অবস্থিত মায়া সভ্যতার একটি বড় শহর। এই শহরটির আয়তন ছিল ১০০ বর্গ কিলোমিটার। অনুমান করা হয় প্রায় ১৪০০ বছর আগে ৬০০ সালে এটি নির্মাণ করা হয়। এই চিচেন ইৎজার কেন্দ্রে অবস্থিত ছিল একটি পিরামিড। এটা প্রি-কলাম্বিয়ান যুগের একটি কেন্দ্রবিন্দু। এই পিরামিড টি মূলত সূর্য দেবতার মন্দির হিসেবে পরিচিত ছিল। এই মন্দিরটি চিচেন ইৎজার প্রতীক।

০৫. মাচু পিচু (Machu Picchu) – পেরু :
মাচু পিচু (Machu Picchu) – পেরু
মাচু পিচু

মাচুপিচু পেরুর সবচেয়ে আকর্ষণীয় দর্শনীয় স্থান। এটি কোস্কো থেকে ৭০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিম সমুদ্র পৃষ্ট থেকে ২৪০০ মিটার উচ্চতায় পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত। এটি ১৪৫০ সালের দিকে নির্মিত হয়, কিন্তু এর এক শ বছর পর ইনকা সভ্যতা যখন স্পেন দ্বারা আক্রান্ত হয় তখন এটি পরিত্যাক্ত হয়ে পড়ে। কয়েক শ বছর অজ্ঞাত থাকার পর ১৯১১ সালে Hiram Bingham নামে এক মার্কিন ঐতিহাসিক এটিকে আবার সমগ্র বিশ্বের নজরে নিয়ে আসেন। তারপর থেকে মাচু পিচু পর্যটকদের কাছে একটি আকর্ষণী দর্শনীয় স্থান হয়ে উঠেছে। এটিকে ১৯৮১ সালে পেরুর সংরক্ষিত ঐতিহাসিক এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয় এবং ইউনেস্কো ১৯৮৩ সালে এটিকে তাদের বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে।

০৬. তাজমহল (Taj Mahal) – ভারত :
তাজমহল (Taj Mahal) – ভারত
তাজমহল

ভারতের উত্তর প্রদেশে আগ্রায় অবস্থিত একটি রাজকীয় সমাধি। মুঘল সম্রাট শাহজাহান তার স্ত্রী আরজুমান্দ বানু বেগম যিনি মুমতাজ মহল নামে পরিচিত, তার স্মৃতির উদ্দেশে এই অপূর্ব সৌধটি নির্মাণ করেন। সৌধটির নির্মাণ শুরু হয়েছিল ১৬৩২ খ্রিস্টাব্দে যা সম্পূর্ণ হয়েছিল প্রায় ১৬৫৩ খ্রিস্টাব্দে।

০৭. ক্রাইস্ট দ্য রিডিমার মূর্তি (Christ the Redeemer Statue) – ব্রাজিল :
ক্রাইস্ট দ্য রিডিমার মূর্তি (Christ the Redeemer Statue) – ব্রাজিল
ক্রাইস্ট দ্য রিডিমার মূর্তি

এটি ব্রাজিলের দক্ষিণপূর্ব শহর রিও ডি জেনেরিও -তে যিশুর একটি বিশাল মূর্তি। পাহাড়ের চূড়ায় যিশু দুহাত প্রসারিত করে আছেন। যেই পাহাড়টিতে মূর্তিটি রয়েছে সেটির উচ্চতা প্রায় ৭১৩ মিটার বা ২৩৪০ ফুট। ১৯২১ সালে এই মূর্তিটি তৈরীর কাজ শুরু করা হয় এবং ১৯৩১ সালে এটি নির্মাণের কাজ শেষ হয়। এই মূর্তিটির প্রধান নির্মাতা ভাস্কর পল ল্যান্ডোস্কি। সম্পূর্ণ গ্রানাইট দিয়ে তৈরী করা হয়েছিল এই মূর্তিটি। মূর্তিটির উচ্চতা ৩০ মিটার বা ১০০ ফুট। এবং এক একটি হাতের দৈর্ঘ্য ২৮ মিটার বা ৯২ ফুট।

পোস্টটির পিডিএফ ডাউনলোড লিঙ্ক নীচে দেওয়া আছে

File Details:
PDF Name : Seven Wonders of the World
Language : Bengali
Size : 01 mb 
No. of Pages : 03
Download Link : Click Here To Download