বায়ুমণ্ডলের বিভিন্ন স্তর PDF | Layers of the Atmosphere
বায়ুমণ্ডলের বিভিন্ন স্তর PDF |
কলম ✏
সুপ্রিয় বন্ধুরা,
বায়ুমণ্ডলের স্তরবিন্যাস বা বায়ুমণ্ডলের বিভিন্ন স্তরের অবস্থান ও বৈশিষ্ট্য ভূগোল বিষয়ের এই টপিকটি থেকে চাকরির পরীক্ষায় প্রশ্ন এসে থাকে, আর তাই আজকের পোস্টে বায়ুমণ্ডলের বিভিন্ন স্তর PDF টি শেয়ার করলাম।
যেটির মধ্যে বায়ুমণ্ডলের বিভিন্ন স্তর এবং সেগুলির বিস্তার ও বৈশিষ্ট্যগুলি খুব সুন্দর দেওয়া আছে। সুতরাং সময় অপচয় না করে পোস্টটি দেখে নাও এবং পিডিএফ ফাইলটি সংগ্রহ করে নাও।
বায়ুমণ্ডলের বিভিন্ন স্তর
০১. ট্রপোস্ফিয়ারঃ
এটি বায়ুমণ্ডলের সবচেয়ে নীচের স্তর।
■ বিস্তারঃ
ভূপৃষ্ঠ থেকে নিরক্ষীয় অঞ্চলে প্রায় ১৬ থেকে ১৮ কিলোমিটার এবং মেরু অঞ্চলে প্রায় ৮ থেকে ৯ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত।
■ বৈশিষ্ট্যঃ
● এটি বায়ুমণ্ডলের সবচেয়ে ঘন ও ভারী স্তর।
● এই স্তরে সাধারণ বিমানগুলি চলাচল করে।
● প্রায় ৭৫% বায়বীয় উপাদান যেমন - জলীয় বাষ্প, ধূলিকণা, বিভিন্ন গ্যাস এই স্তরে অবস্থান করে।
● এই স্তরে মেঘ, ঝড়, বৃষ্টি, বজ্রপাত প্রভৃতি বায়বীয় গোলযোগ ঘটে বলে, একে ক্ষুব্বমণ্ডল বলা হয়।
● প্রতি কিলোমিটার উচ্চতা বৃদ্ধিতে বায়ুর উষ্ণতা ৬.৪ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড হ্রাস পায়।
● এই স্তরের উর্ধ্বসীমাকে ট্রপোপজ বলা হয়। এখানে উষ্ণতার কোন পরিবর্তন হয় না।
০২. স্ট্রাটোস্ফিয়ারঃ
ট্রপোস্ফিয়ারের উপরে অবস্থিত বায়ুমণ্ডলের দ্বিতীয় স্তরটি হল স্ট্রাটোস্ফিয়ার।
■ বিস্তারঃ
ট্রপোপজ থেকে ওপরে ৫০ কিমি পর্যন্ত এই স্তরটি বিস্তৃত।
■ বৈশিষ্ট্যঃ
● এই স্তরে জলীয় বাষ্প, মেঘ, বায়ুপ্রবাহ, ঝড়, বৃষ্টি প্রভৃতি দেখা যায় না; তাই একে শান্তমণ্ডল বলা হয়।
● এই স্তরে বায়ুমণ্ডল শান্ত থাকায় জেট বিমানগুলি চলাচল করে।
● এই স্তরের মধ্যে ওজোনস্তর অবস্থান করে।
● এই স্তরের উর্ধ্বসীমাকে স্ট্রাটোপজ বলা হয়।
০৩. মেসোস্ফিয়ারঃ
স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারের ওপরে বায়ুমণ্ডলের তৃতীয় স্তরটিকে বলা হয় মেসোস্ফিয়ার।
■ বিস্তারঃ
ভূপৃষ্ঠের উপরিতলের ৫০ কিমি থেকে ৮০ কিমি পর্যন্ত এই স্তর অবস্থান করে।
■ বৈশিষ্ট্যঃ
● এটি বায়ুমণ্ডলের শীতলতম অঞ্চল।
● এই স্তরে উচ্চতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে উষ্ণতা হ্রাস পায়।
● মহাকাশ থেকে ছুটে আসা উল্কাগুলি মূলত এই স্তরে এসে পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
● এই স্তরের উর্ধ্বসীমাকে মেসোপজ বলা হয়।
০৪. থার্মোস্ফিয়ারঃ
মেসোস্ফিয়ারের ওপরে বায়ুমণ্ডলের চতুর্থ ও তাপময় স্তরটিকে বলা হয় থার্মোস্ফিয়ার বা তাপমণ্ডল।
■ বিস্তারঃ
৮০ থেকে ৫০০ কিলোমিটার পর্যন্ত এই স্তরের বিস্তৃতি।
■ বৈশিষ্ট্যঃ
● এই স্তরে নিম্নাংশে গ্যাসের অণুগুলি আয়নিত অবস্থায় থাকে, তাই থার্মোস্ফিয়ারের নীচের অংশকে আয়নোস্ফিয়ার বলা হয়।
● এই স্তরে উচ্চতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে উষ্ণতাও বৃদ্ধি পায়।
০৫. এক্সোস্ফিয়ারঃ
থার্মোস্ফিয়ারের ওপরের স্তরটিকে বলা হয় এক্সোস্ফিয়ার।
■ বিস্তারঃ
থার্মোস্ফিয়ারের ওপরে প্রায় ১৫০০ কিলোমিটার পর্যন্ত এই স্তর বিস্তৃত।
■ বৈশিষ্ট্যঃ
● এই স্তরে হিলিয়াম ও হাইড্রোজেন গ্যাসের প্রাধান্য দেখা যায়।
● এই স্তরে উষ্ণতা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পায়।
● কৃত্রিম উপগ্রহ, মহাকাশ স্টেশন এই স্তরে থাকে।
০৬. ম্যাগনেটোস্ফিয়ারঃ
এক্সোস্ফিয়ারের ওপরে বায়ুমণ্ডলের শেষসীমা পর্যন্ত বায়ুস্তরকে ম্যাগনেটোস্ফিয়ার বলে।
■ বিস্তারঃ
এক্সোস্ফিয়ারের ওপর থেকে বায়ুমণ্ডলের শেষ সীমা অর্থাৎ ১৫০০ থেকে ১০০০০ কিলোমিটার পর্যন্ত এই স্তর বিস্তৃত।
■ বৈশিষ্ট্যঃ
● এই স্তরের বায়ুমণ্ডল ইলেকট্রন ও প্রোটন দ্বারা গঠিত চৌম্বক ক্ষেত্র দ্বারা বেষ্টিত।
পোস্টটির পিডিএফ ডাউনলোড লিঙ্ক নীচে দেওয়া আছে
File Details:
PDF Name : Layers of the Atmosphere
Language : Bengali
Size : 0.4 mb
No. of Pages : 03
Download Link : Click Here To Download
No comments:
Post a Comment