পশ্চিমবঙ্গ নদীমাতৃক রাজ্য। উৎপত্তি ও গতিপ্রকৃতি অনুসারে পশ্চিমবঙ্গের নদ-নদীকে চারটি ভাগে ভাগ করা যায়। যথা - 

 

০১. উত্তরবঙ্গের নদ-নদী

০২. গঙ্গা ও তার উপনদী

০৩. পশ্চিমের মালভূমি অঞ্চলের নদ-নদী

০৪. সুন্দরবন অঞ্চলের নদ-নদী

■ দৈর্ঘ্যঃ ৪১৩ কিমি, ভারতে ২৯১ কিমি এবং পশ্চিমবঙ্গে ১২২ কিমি। 

■ উৎসস্থলঃ সিকিমের জেমু হিমবাহ। 

■ পতনস্থলঃ বাংলাদেশের যমুনা নদীতে। 

■ শাখানদী ও উপনদীঃ রঙ্গিত, জলঢাকা, কালীঝোড়া, লিস। 

■ বৈশিষ্ট্যঃ এটি উত্তরবঙ্গের প্রধান নদী এবং এই নদী ‘ত্রাসের নদী’ নামে পরিচিত। 

■ দৈর্ঘ্যঃ ২৯০ কিমি।

■ উৎসস্থলঃ মহালধিরাম পার্বত্য অঞ্চল। 

■ পতনস্থলঃ বাংলাদেশের পদ্মা নদীতে। 

■ উপনদীঃ গুলুমা খোলা, ডৌক, মেচি, বালাসন। 

■ বৈশিষ্ট্যঃ এটি উত্তরবঙ্গের দীর্ঘতম নদী এবং মহানন্দা অভয়ারণ্য এই নদীর তীরে অবস্থিত। 

■ দৈর্ঘ্যঃ ২৩৬ কিমি। 

■ উৎসস্থলঃ সিকিম-ভুটানের বিদাং হ্রদ। 

■ পতনস্থলঃ বাংলাদেশের যমুনা নদীতে।

■ উপনদীঃ ধরলা, গিধারী, ডলং, ডায়না। 

■ বৈশিষ্ট্যঃ গরুমারা অভয়ারণ্য এই নদীর তীরে অবস্থিত। 

■ দৈর্ঘ্যঃ ৩৫৮ কিমি। 

■ উৎসস্থলঃ টং গিরিপথের চুম্বি উপত্যকা। 

■ পতনস্থলঃ বাংলাদেশের যমুনা নদীতে।

■ উপনদীঃ মালেঙ্গি, বেলা, সুনজাই। 

■ বৈশিষ্ট্যঃ শাখানদী - চিলী, তোর্সা ও চর তোর্সা। 

■ উৎসস্থলঃ ভুটান পাহাড়। 

■ পতনস্থলঃ তোর্সার সাথে মিশে ব্রহ্মপুত্রে। 

■ উপনদীঃ গদাধর, চেকো, নেনাই। 

■ বৈশিষ্ট্যঃ আলাইকুড়ি ও ডিমা নদীর মিলিত ধারার নাম কালজানি। 

■ উৎসস্থলঃ ভুটানের অ্যাকাংচু শৃঙ্গ। 

■ পতনস্থলঃ বাংলাদেশের যমুনা। 

■ উপনদীঃ দীপা। 

■ উৎসস্থলঃ লেপচা জগৎ

■ পতনস্থলঃ মহানন্দা। 

■ উপনদীঃ রঙ, বিং। 

■ দৈর্ঘ্যঃ মোট ২৫২৫ কিমি, পশ্চিমবঙ্গে ৫২০ কিমি। 

■ উৎসস্থলঃ গঙ্গোত্রী হিমবাহ। 

■ পতনস্থলঃ বঙ্গোপসাগর। 

■ উপনদীঃ দামোদর, রূপনারায়ণ, ময়ূরাক্ষী, কংসাবতী, অজয়। 

■ বৈশিষ্ট্যঃ পশ্চিমবঙ্গের দীর্ঘতম ও প্রধান নদী। মুর্শিদাবাদ থেকে হুগলী পর্যন্ত গঙ্গা ভাগীরথী নামে এবং হুগলী থেকে মোহনা পর্যন্ত হুগলী নদী নামে পরিচিত। 

■ দৈর্ঘ্যঃ ৫৯২ কিমি। 

■ উৎসস্থলঃ ছোটনাগপুর মালভূমির খামারপোত পাহাড়। 

■ পতনস্থলঃ উলুবেড়িয়ার কাছে ভাগীরথী-হুগলী নদী। 

■ উপনদীঃ বরাকর, কোনার, বোকারো, আয়ার। 

■ বৈশিষ্ট্যঃ বাংলার দুঃখ নামে পরিচিত। 

■ দৈর্ঘ্যঃ ৪৭৪ কিমি।

■ উৎসস্থলঃ ঝাড়খণ্ডের পালামৌ জেলার টোরির নিকট। 

■ পতনস্থলঃ বঙ্গোপসাগর। 

■ উপনদীঃ শাংখো, সাপুলিনালা, রুপাই, ডুলুং। 

■ দৈর্ঘ্যঃ ৩৩৬ কিমি।

■ উৎসস্থলঃ অযোধ্যা পাহাড় সংলগ্ন ঝাবর বন পাহাড়। 

■ পতনস্থলঃ হুগলী নদী। 

■ উপনদীঃ কুমারী, পাটলো। 

■ দৈর্ঘ্যঃ ২৭৬ কিমি।

■ উৎসস্থলঃ ঝাড়খণ্ডের দুমকা। 

■ পতনস্থলঃ ভাগীরথী নদী। 

■ উপনদীঃ কুণুর, হিংলা, তুমুনি।

■ দৈর্ঘ্যঃ ২৫০ কিমি।

■ উৎসস্থলঃ বৈদ্যনাথধামের ত্রিকূট পাহাড়। 

■ পতনস্থলঃ ভাগীরথী নদী। 

■ উপনদীঃ পুস্কানী।

■ দৈর্ঘ্যঃ ৮০ কিমি। 

■ উৎসস্থলঃ পশ্চিমের মালভূমি। 

■ পতনস্থলঃ হুগলী নদী। 

■ উপনদীঃ মুন্ডশ্বরী। 

■ দৈর্ঘ্যঃ ২৪ কিমি। 

■ উৎসস্থলঃ কংসাবতী ও কেলেঘাই নদীর মিলিত প্রবাহ।

■ পতনস্থলঃ ভাগীরথী নদী। 

এই অঞ্চলের নদ-নদীগুলি প্রধানত জোয়ারের জলে পুষ্ট এবং এগুলির সবই হুগলীর শাখা নদী। সুন্দরবন অঞ্চলের উল্লেখযোগ্য নদ-নদীগুলি হল - মাতলা, ইছামতী, রায়মঙ্গল, বিদ্যাধরী, গোসাবা, সপ্তমুখী, পিয়ালী, ঠাকুরান, কালিন্দী ইত্যাদি।

আজকের পোস্টে বিখ্যাত মনীষীদের জন্মস্থান তালিকা PDF টি শেয়ার করলাম। যেটিতে বিভিন্ন বিখ্যাত ব্যক্তি বা মনীষীদের নাম ও তাদের জন্মস্থানের তালিকা দেওয়া আছে। বিভিন্ন পরীক্ষাতে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মস্থান কোথায়? রাজা রামমোহন রায় কোথায় জন্মগ্রহণ করেন? রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম কোথায়? ইত্যাদি প্রশ্ন এসে থাকে।