Breaking



Wednesday 17 April 2024

জ্যামিতির সকল সংজ্ঞা PDF | জ্যামিতির বিভিন্ন সংজ্ঞা

জ্যামিতির সকল সংজ্ঞা PDF | জ্যামিতির বিভিন্ন সংজ্ঞা | Definitions of Geometry in Bengali

জ্যামিতির সকল সংজ্ঞা | জ্যামিতির বিভিন্ন সংজ্ঞা
জ্যামিতির সকল সংজ্ঞা PDF | জ্যামিতির বিভিন্ন সংজ্ঞা
কলম 
সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আজকের পোস্টে জ্যামিতির সকল সংজ্ঞা PDF টি শেয়ার করলাম। যেটিতে জ্যামিতির যেসকল টপিকগুলি আছে, সেগুলির সংজ্ঞাগুলি খুব সুন্দরভাবে দেওয়া আছে। তাই দেরী না করে জ্যামিতির বিভিন্ন সংজ্ঞা গুলি দেখে নাও এবং প্রয়োজনে নীচ থেকে পিডিএফটি সংগ্রহ করে নাও।

জ্যামিতির সকল সংজ্ঞা

০১. কোণ কাকে বলে ?
উত্তরঃ দুইটি সরলরেখা যদি পরস্পরের সাথে কোনো বিন্দুতে গিয়ে মিলিত হয়‚ তবে মিলন বিন্দুতে একটি কোণ উৎপন্ন হয় আর এটাকেই মূলত কোণ বলে।

০২. সূক্ষ্মকোণ কাকে বলে ?
উত্তরঃ এক সমকোণ বা ৯০ ডিগ্রী অপেক্ষা ছোট কোণকে সূক্ষ্মকোণ বলে। 

০৩. সমকোণ কাকে বলে ?
উত্তরঃ একটি সরলরেখার উপর অন্য একটি সরলরেখা লম্বভাবে দণ্ডায়মান হলে মিলিত বিন্দুতে উৎপন্ন কোণকে সমকোণ বলে। এক সমকোণ সমান ৯০ ডিগ্রী।

০৪. স্থূলকোণ কাকে বলে ?
উত্তরঃ এক সমকোণ অপেক্ষা বড় বিন্তু দুই সমকোণ অপেক্ষা ছোট কোণকে সথূলকোণ বলে। 

০৫. প্রবৃদ্ধ কোণ কাকে বলে ?
উত্তরঃ দুই সমকোণ বা ১৮০ ডিগ্রী অপেক্ষা বড় কিন্তু চার সমকোণ বা ৩৬০ ডিগ্রী অপেক্ষা ছোট কোণকে প্রবদ্ধ কোণ বলে।

০৬. সরল কোণ কাকে বলে ?
উত্তরঃ দুটি সরল রেখা পরস্পর সম্পূর্ণ বিপরীত দিকে গমন করলে রেখাটির দুপাশে যে কোণ উৎপন্ন হয় তাকে সরলকোণ বলে।  এক সরলকোণ সমান ১৮০ ডিগ্রী। 

০৭. বিপ্রতীপ কোণ কাকে বলে ?
উত্তরঃ দুইটি সরল রেখা পরস্পর ছেদ করলে যে চারটি কোণ উৎপন্ন হয়, এদের যেকোনো একটিকে তার বিপরীত কোণের বিপ্রতীপ কোণ বলে।

০৮. সম্পূরক কোণ কাকে বলে ?
উত্তরঃ দুটি কোণের সমষ্টি যদি ১৮০ ডিগ্রী বা দুই সমকোণ হয়, তখন একটি কোণকে অপর কোণের সম্পূরক কোণ বলে।

০৯. পূরক কোণ কাকে বলে ?
উত্তরঃ যখন দুটি কোণের সমষ্টি ৯০ ডিগ্রী বা এক সমকোণ হয়, তখন একটি কোণকে অপর কোণের পূরক কোণ বলা হয়।

১০. একান্তর কোণ কাকে বলে ? 
উত্তরঃ দুটি সমান্তরাল রেখাকে অপর একটি রেখা তির্যকভাবে ছেদ করলে ছেদ রেখার বিপরীত পাশে সমান্তরাল রেখা যে কোণ উৎপন্ন করে, তাকে একান্তর কোণ বলে।

১১. অনুরূপ কোণ কাকে বলে ?
উত্তরঃ দুটি সমান্তরাল সরল রেখাকে অপর একটি সরল রেখা ছেদ করলে ছেদকের একই পাশে যে কোন উৎপন্ন হয়, তাকে অনুরূপ কোণ বলে।

১২. সন্নিহিত কোণ কাকে বলে ?
উত্তরঃ যদি দুটি কোণের একটি সাধারণ বাহু থাকে তবে একটি কোণের অপর কোণের সন্নিহিত কোণ বলে।

১৩. রেখা কাকে বলে ? 
উত্তরঃ যার দৈর্ঘ্য আছে কিন্তু প্রস্থ ও বেধ নেই তাকে রেখা বলে।

১৪. সরল রেখা কাকে বলে ?
উত্তরঃ যে রেখা এক বিন্দু থেকে অন্য বিন্দুতে যেতে কোন দিক পরিবর্তন করে না অর্থাৎ সোজাসুজি চলে তাকে সরলরেখা বলে।

১৫. বক্র রেখা কাকে বলে ?
উত্তরঃ যে রেখা এক বিন্দু থেকে অন্য বিন্দুতে যেতে দিক পরিবর্তন করে অর্থাৎ সোজাসুজি চলে না তাকে বলে।

১৬. বিন্দু কাকে বলে ? 
উত্তরঃ যার শুধু অবস্থান আছে কিন্তু দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও বেধ বা উচ্চতা কিছুই নেই তাকে বিন্দু বলে।

১৭. রেখাংশ কাকে বলে ?
উত্তরঃ যার নির্দিষ্ট দৈর্ঘ্য ও দুইটি প্রান্তবিন্দু আছে তাকে রেখাংশ বলে।

১৮. সমান্তরাল রেখা কাকে বলে ? 
উত্তরঃ একই সমতলে অবস্থিত দুইটি রেখা একে অপরকে ছেদ না করলে তাদেরকে সমান্তরাল সরল রেখা বলে। 

১৯. ছেদক কাকে বলে ?
উত্তরঃ যে সরলরেখা দুই বা ততোধিক সরলরেখাকে ছেদ করে, তাকে ছেদক বলে।

২০. ত্রিভুজ কাকে বলে ?
উত্তরঃ তিনটি সরলরেখা দ্বারা সীমাবদ্ধ ক্ষেত্রকে ত্রিভুজ বলে।

২১. সূক্ষ্মকোণী ত্রিভুজ কাকে বলে ?
উত্তরঃ যে ত্রিভুজের তিনটি কোণই এক সমকোণ অথবা ৯০ ডিগ্রী এর ছোট তাকে সূক্ষ্মকোণী ত্রিভুজ বলে।

২২. স্থূলকোণী ত্রিভুজ কাকে বলে ?
উত্তরঃ যে ত্রিভুজের একটি কোণ স্থূলকোণ বা এক সমকোণ অপেক্ষা বড় তাকে স্থূলকোণী ত্রিভুজ বলে।

২৩. সমকোণী ত্রিভুজ কাকে বলে ?
উত্তরঃ যে ত্রিভুজের অভ্যন্তরীণ কোণগুলির একটি কোণ সমকোণ বা ৯০ ডিগ্রি হয় তাকে সমকোণী ত্রিভুজ বলে।

২৪. সমবাহু ত্রিভুজ কাকে বলে ?
উত্তরঃ যে ত্রিভুজের তিনটি বাহুই সমান তাকে সমবাহু ত্রিভুজ বলে।

২৫. সমদ্বিবাহু ত্রিভুজ কাকে বলে ?
উত্তরঃ যে ত্রিভুজের দুটি বাহু পরস্পর সমান এবং অপর বাহুটি অসমান তাকে সমদ্বিবাহু ত্রিভুজ বলে।

২৬. বিষমবাহু ত্রিভুজ কাকে বলে ?
উত্তরঃ যে ত্রিভুজের তিনটি বাহুই পরস্পর অসমান তাকে বিষোমবাহু ত্রিভুজ বলে।

২৭. বৃত্ত কাকে বলে ? 
উত্তরঃ একটি নির্দিষ্ট বিন্দুকে কেন্দ্র করে সর্বদা সমান দূরত্ব বজায় রেখে অন্য একটি বিন্দু তার চারদিকে একবার ঘুরে এলে যে ক্ষেত্র তৈরি হয় তাকে বৃত্ত বলে। 

২৮. কেন্দ্র কাকে বলে ?
উত্তরঃ যে নির্দিষ্ট বিন্দু থেকে বৃত্তের পরিধির উপর সকল বিন্দুর দুরত্ব সমান, ঐ নির্দিষ্ট বিন্দুকে বৃত্তের কেন্দ্র বলে।

২৯. ভরকেন্দ্র কাকে বলে ?
উত্তরঃ কোন বস্তুর প্রতিটি কনার উপর ক্রিয়াশীল মাধ্যাকর্ষণ বলের লব্ধি ঐ বস্তুর যে বিন্দু দিয়ে যায় তাকেই বা সেই বিন্দু কেই ঐ বস্তুর ভরকেন্দ্র বলে।

৩০. লম্ববিন্দু বা লম্বকেন্দ্র কাকে বলে ?
উত্তরঃ ত্রিভুজের শীর্ষ হতে বিপরীত বাহুর উপর অঙ্কিত লম্ব তিনটি যে বিন্দুতে মিলিত হয় সেই বিন্দুকে ত্রিভুজের লম্ববিন্দু বলা হয়।

৩১. জ্যা কাকে বলে ?
উত্তরঃ বৃত্তের পরিধির উপর যেই কোন দুটি বিন্দুর সংযোজক রেখাংশকে জ্যা বলে।

৩২. ব্যাস কাকে বলে ?
উত্তরঃ বৃত্তের কেন্দ্রগামী জ্যাকে ব্যাস বলে।

৩৩. ব্যাসার্ধ কাকে বলে ?
উত্তরঃ বৃত্তের কেন্দ্র থেকে পরিধির উপর যেকোনো বিন্দুর দূরত্বকে ব্যাসার্ধ বলে।

৩৪. পরিধি কাকে বলে ?
উত্তরঃ বৃত্তের সীমান্ত বরাবর দৈর্ঘ্যকে পরিধি বলে।

৩৫. পরিবৃত্ত কাকে বলে ?
উত্তরঃ তিনটি শীর্ষবিন্দু যোগ করে যেমন একটিমাত্র ত্রিভুজ হয় তেমনি তিনটি বিন্দু (শীর্ষ) গামী বৃত্তও একটিই, এর নাম পরিবৃত্ত।

৩৬. পরিকেন্দ্র কাকে বলে ?
উত্তরঃ পরিবৃত্তের কেন্দ্রকে পরিকেন্দ্র বলে।

৩৭. স্পর্শক কাকে বলে ?
উত্তরঃ একটি বৃত্ত ও একটি সরলরেখার যদি একটি ছেদবিন্দু থাকে তবে রেখাটিকে বৃত্তটির একটি স্পর্শক বলা হয়।

৩৮. চতুর্ভুজ কাকে বলে ?
উত্তরঃ চারটি সরলরেখা দ্বারা আবদ্ধ চিত্রকে চতুর্ভুজ বলে।

৩৯. কর্ণ কাকে বলে ?
উত্তরঃ চতুর্ভুজের বিপরীত শীর্ষ বিন্দুগুলো দিয়ে তৈরি রেখাংশকে কর্ণ বলে।

৪০. সামান্তরিক কাকে বলে ?
উত্তরঃ যে চতুর্ভূজের বিপরীত বাহুগুলো পরস্পর সমান ও সমান্তরাল তাকে সামান্তরিক বলে।

৪১. আয়তক্ষেত্র কাকে বলে ?
উত্তরঃ যে চতুর্ভুজের বিপরীত বাহুগুলো পরস্পর সমান ও সমান্তরাল এবং কোণগুলো সমকোণ তাকে আয়তক্ষেত্র বলে।

৪২. বর্গক্ষেত্র কাকে বলে ?
উত্তরঃ যে চতুর্ভুজের চারটি বাহুই পরস্পর সমান ও সমান্তরাল এবং কোণগুলো সমকোণ তাকে বর্গক্ষেত্র বলে। 

৪৩. রম্বস কাকে বলে ?
উত্তরঃ যে চতুর্ভুজের চারটি বাহুর দৈর্ঘ্য পরস্পর সমান তাকে রম্বস বলে।

৪৪. ট্রাপিজিয়াম কাকে বলে ?
উত্তরঃ যে চতুর্ভুজের একজোড়া বাহু সমান্তরাল তাকে ট্রাপিজিয়াম বলে।

৪৫. বহুভুজ কাকে বলে ?
উত্তরঃ সরলরেখা দ্বারা আবদ্ধ সমতল যেকোন চিত্রকে বহুভুজ বলা হয়।

৪৬. গোলক কাকে বলে ?
উত্তরঃ কোন অর্ধবৃত্তের ব্যাসকে অক্ষ করে বা স্থির রেখে ওই ব্যাসের চারিদিকে অর্ধবৃত্তটিকে একবার পূর্ণ আবর্তন করলে যে ঘনবস্তু উৎপন্ন হয়, তাকে গোলক বলে। 

৪৭. ঘনক কাকে বলে ?
উত্তরঃ ছয় তলবেষ্টিত যে ঘনবস্তুর দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও উচ্চতা সমান তাকে ঘনক বলে।

৪৮. সিলিন্ডার বা বেলন কাকে বলে ?
উত্তরঃ একটি আয়তক্ষেত্রের যে কোনো একটি বাহুকে স্থির রেখে ঐ বাহুর চতুর্দিকে আয়তক্ষেত্রটিকে ঘোরালে যে ঘনবস্তু তৈরি হয় তাকে বেলন বা সিলিন্ডার বলে। 


পিডিএফটির ডাউনলোড লিঙ্ক নীচে দেওয়া আছে

File Details:
PDF Name : Definitions of Geometry
Language : Bengali
Size : 01 mb 
No. of Pages : 05
Download Link : Click Here To Download


No comments:

Post a Comment