Report Writing in Bengali PDF | Bengali Report Writing Example || Part-04
কলম ✏
সুপ্রিয় বন্ধুরা,
Clerkship Main | ICDS Main | WBCS Main | Miscellaneous Main Exams | WB Police SI Main ইত্যাদি পরীক্ষার প্রস্তুতিকে শক্তিশালী করে তুলতে আজ তোমাদের জন্যে রইলো, তিনটি প্রতিবেদন রচনা। যেগুলি মূলত সাম্প্রতিককালের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবলীকে কেন্দ্র করে প্রস্তুত করা হয়েছে। সুতরাং সময় নষ্ট না করে প্রতিবেদন রচনাগুলি দেখে নাও আর প্রতিবেদন রচনার ঠিক নীচেই পিডিএফ ডাউনলোড লিঙ্ক পেয়ে যাবে।
একটি মেয়ের জন্ম থেকে বড় হয়ে ওঠা, জীবন-যাপন সবই নির্ভর করে সমাজের গঠন, কাঠামো ও প্রকৃতির উপর। নারী নির্যাতন ও তার প্রতিকারের চেষ্টা, নারীর সমানাধিকার, নারীর ক্ষমতায়ণ নিয়ে আলোচনা, ভাষণ, অঙ্গীকারের অন্ত নেই; কিন্তু হাতে গোনা কয়েকজনের কথা বাদ দিলে আপামর নারীর অবস্থা যে তিমিরে ছিল সেই তিমিরেই থেকে গিয়েছে। আমাদের সমাজ পিতৃতান্ত্রিক কাঠামোর উপর দাঁড়িয়ে। পিতৃতান্ত্রিক সমাজে মেয়ের জন্ম মানেই পরিবারের ভয়, নিরাপত্তার অনিশ্চয়তা, মেয়ে মানেই দুর্বল যা তাকে পরনির্ভরশীল করে তোলে। সমাজে নিজের প্রয়োজনে ছোটোখাটো পরিবর্তন এনে মেয়েদের কিছু সুযোগ-সুবিধা দিলেও মূল কাঠামোতে কোনও পরিবর্তন আনতে পারেনি, বদলায়নি সমাজের মানসিকতা।
এমন অনেকেই যারা বলবেন, তারা ঠিক এমন নন, ছেলে-মেয়েকে সমান দেখেন, তাদের মধ্যে নিশ্চয় উদারতা আছে, কিন্তু সমাজ তাকে উদারতা দেখানোর যতটা ছাড় দিয়েছে সে তার মধ্যেই আসা-যাওয়া করে, বেশী উদার হতে গেলে আবার যে সমাজ বহির্ভূত হবে। যুগ যুগ ধরে বড় বড় রথী-মহারথী, শাস্ত্রাকার, পণ্ডিত সমাজের নিয়ম বা কাঠামোতে মাটি লাগিয়ে তাকে মজবুত ও অনমনীয় করলেও স্থান কাল পাত্র নির্বিশেষে সমাজে নারীর স্থান পুরুষের পরেই রয়ে গিয়েছে প্রাচীন কাল থেকে। সমাজে একটি বড় কাঠামোর ভিতরে আরও একাধিক ছোট ছোট কাঠামো থাকে, প্রচলিত ঐতিহ্য, আচার-আচরণ, সামাজিক রীতি-নীতি, ধর্ম, শিক্ষা, সংস্কার, আইন, বিবাহ ব্যবস্থা ও অন্য সব কিছু নিয়ে একাধিক কাঠামো, আর সেই সব কাঠামো নিয়ে বৃহৎ কাঠামো গড়ে উঠেছে। পিতৃতন্ত্র যখন ক্ষমতা বা কর্তৃত্বের উৎস, তখন তাকে ধরে রাখতে পুরুষদের থেকে মহিলাদের তাগিদ কোন অংশে কম নেই। এই সমাজে সমানাধিকারের কথা বললেই নারীবাদী বলে তীর্থক মন্তব্য করা হয়। সংস্কৃতি পরিবর্তনশীল, ‘অপসংস্কৃতি’ শব্দের মধ্যে একটি স্থবিরতা রয়েছে। যারা অপসংস্কৃতিতে বিশ্বাস করেন, তারা বেশিরভাগই এর দায় সিংহভাগ মেয়েদের উপর চাপিয়ে দেন। শিক্ষার যথেষ্ট প্রসার হওয়া সত্ত্বেও আজও ধর্ষণের জন্য নারীর পোশাক বা আচরণকে দায়ী করা হয়, ধর্ষকের উদ্দেশ্য বা মানসিকতাকে নয়।
যখনই কোন মহিলা মূল কাঠামোকে মানতে নাকচ করেন বা তাতে বিন্দুমাত্র আঘাত হানেন, তখনই সেই মহিলাকে অপদস্থ করতে তথাকথিত ‘আধুনিক’ শিক্ষিত মানুষেরাও সমাজের আরোপিত শিক্ষা ভুলে নিজেদের রুচি ও শালীনতার পরিচয় দেন। মেয়েদের জীবনে যেসব সমস্যা আছে তা মূলত সামাজিক কাঠামো তথা মানুষেরই সৃষ্টি, উন্নত ও প্রগতিশীল সমাজ গঠনে নারীদের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা প্রদর্শনের মাধ্যমে উন্নত মানসিকতা অতি আবশ্যক।
নিজস্ব সংবাদদাতা, ১৫ই জুলাই, কলকাতাঃ বাড়ি থেকে ছড়িয়ে পরা আগুনে পুড়ে গেল কিছু দোকান, রবিবার সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ বড়বাজারের ক্যানিং স্ট্রীটের চারতলা বাড়ির একতলা থেকে গলগল করে ধোঁয়া বেরোতে দেখেন স্থানীয়রা। তাঁরাই খবর দেন দমকলে। পুলিশ জানিয়েছে, বাড়িটির বেশির ভাগ অংশ পুড়ে গেছে। আগুনের খবর পেয়ে লালবাজার দমকল কেন্দ্র থেকে প্রথমে একটি দমকলের ইঞ্জিন যায়, পরে দমকলের সদর দফতর এবং চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ থেকে দমকল কেন্দ্র থেকে কর্মীরা গিয়ে আগুন নেভাতে শুরু করে।
স্থানীয় সূত্রের খবর, চারতলা বাড়িটির পুরোটাই বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত হয়। একতলার দুটি দোকান থেকে আগুন ক্রমেই উপরের দিকে ছড়িয়ে পড়ে। দমকল সূত্রের খবর, রবিবার থাকায় সব দোকান বন্ধ ছিল। গ্যাস কাটার দিএ দরজা কেটে পাইপ দিয়ে ভিতরে জল দেওয়া হয়, আগুনে বেশ কিছু দোকান ক্ষতিগ্রস্থ হয়, নীচে কিছু কাঠের জিনিস মজুত ছিল। দমকলের ডিভিশনাল আধিকারিক দেবতনু বসু বলেন, “বাড়িটি বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত হলেও কোনও আগ্নিরোধক ব্যবস্থা ছিল না, ফায়ার লাইসেন্স আছে কিনা দেখা হচ্ছে। ” বাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে দমকলের তরফে মামলা রজু করা হয়েছে। শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন ছড়িয়েছে বলে প্রাথমিক অনুমান।
আগুনের জেরে এদিন ব্রেবোর্ন রোড দীর্ঘ সময় বন্ধ ছিল। হাওড়ামুখী বাস ঘুড়িয়ে দেওয়া হয় স্ট্যান্ড রোড দিয়ে। তবে ছুটির দিন হওয়ায় যানজট তেমন হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
Clerkship Main | ICDS Main | WBCS Main | Miscellaneous Main Exams | WB Police SI Main ইত্যাদি পরীক্ষার প্রস্তুতিকে শক্তিশালী করে তুলতে আজ তোমাদের জন্যে রইলো, তিনটি প্রতিবেদন রচনা। যেগুলি মূলত সাম্প্রতিককালের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবলীকে কেন্দ্র করে প্রস্তুত করা হয়েছে। সুতরাং সময় নষ্ট না করে প্রতিবেদন রচনাগুলি দেখে নাও আর প্রতিবেদন রচনার ঠিক নীচেই পিডিএফ ডাউনলোড লিঙ্ক পেয়ে যাবে।
❑ বর্তমান সমাজে নারীদের অবস্থান ❑
এমন অনেকেই যারা বলবেন, তারা ঠিক এমন নন, ছেলে-মেয়েকে সমান দেখেন, তাদের মধ্যে নিশ্চয় উদারতা আছে, কিন্তু সমাজ তাকে উদারতা দেখানোর যতটা ছাড় দিয়েছে সে তার মধ্যেই আসা-যাওয়া করে, বেশী উদার হতে গেলে আবার যে সমাজ বহির্ভূত হবে। যুগ যুগ ধরে বড় বড় রথী-মহারথী, শাস্ত্রাকার, পণ্ডিত সমাজের নিয়ম বা কাঠামোতে মাটি লাগিয়ে তাকে মজবুত ও অনমনীয় করলেও স্থান কাল পাত্র নির্বিশেষে সমাজে নারীর স্থান পুরুষের পরেই রয়ে গিয়েছে প্রাচীন কাল থেকে। সমাজে একটি বড় কাঠামোর ভিতরে আরও একাধিক ছোট ছোট কাঠামো থাকে, প্রচলিত ঐতিহ্য, আচার-আচরণ, সামাজিক রীতি-নীতি, ধর্ম, শিক্ষা, সংস্কার, আইন, বিবাহ ব্যবস্থা ও অন্য সব কিছু নিয়ে একাধিক কাঠামো, আর সেই সব কাঠামো নিয়ে বৃহৎ কাঠামো গড়ে উঠেছে। পিতৃতন্ত্র যখন ক্ষমতা বা কর্তৃত্বের উৎস, তখন তাকে ধরে রাখতে পুরুষদের থেকে মহিলাদের তাগিদ কোন অংশে কম নেই। এই সমাজে সমানাধিকারের কথা বললেই নারীবাদী বলে তীর্থক মন্তব্য করা হয়। সংস্কৃতি পরিবর্তনশীল, ‘অপসংস্কৃতি’ শব্দের মধ্যে একটি স্থবিরতা রয়েছে। যারা অপসংস্কৃতিতে বিশ্বাস করেন, তারা বেশিরভাগই এর দায় সিংহভাগ মেয়েদের উপর চাপিয়ে দেন। শিক্ষার যথেষ্ট প্রসার হওয়া সত্ত্বেও আজও ধর্ষণের জন্য নারীর পোশাক বা আচরণকে দায়ী করা হয়, ধর্ষকের উদ্দেশ্য বা মানসিকতাকে নয়।
যখনই কোন মহিলা মূল কাঠামোকে মানতে নাকচ করেন বা তাতে বিন্দুমাত্র আঘাত হানেন, তখনই সেই মহিলাকে অপদস্থ করতে তথাকথিত ‘আধুনিক’ শিক্ষিত মানুষেরাও সমাজের আরোপিত শিক্ষা ভুলে নিজেদের রুচি ও শালীনতার পরিচয় দেন। মেয়েদের জীবনে যেসব সমস্যা আছে তা মূলত সামাজিক কাঠামো তথা মানুষেরই সৃষ্টি, উন্নত ও প্রগতিশীল সমাজ গঠনে নারীদের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা প্রদর্শনের মাধ্যমে উন্নত মানসিকতা অতি আবশ্যক।
❑ ক্যানিং স্ট্রীটে চারতলা বাড়িতে বিধ্বংসী আগুন ❑
স্থানীয় সূত্রের খবর, চারতলা বাড়িটির পুরোটাই বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত হয়। একতলার দুটি দোকান থেকে আগুন ক্রমেই উপরের দিকে ছড়িয়ে পড়ে। দমকল সূত্রের খবর, রবিবার থাকায় সব দোকান বন্ধ ছিল। গ্যাস কাটার দিএ দরজা কেটে পাইপ দিয়ে ভিতরে জল দেওয়া হয়, আগুনে বেশ কিছু দোকান ক্ষতিগ্রস্থ হয়, নীচে কিছু কাঠের জিনিস মজুত ছিল। দমকলের ডিভিশনাল আধিকারিক দেবতনু বসু বলেন, “বাড়িটি বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত হলেও কোনও আগ্নিরোধক ব্যবস্থা ছিল না, ফায়ার লাইসেন্স আছে কিনা দেখা হচ্ছে। ” বাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে দমকলের তরফে মামলা রজু করা হয়েছে। শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন ছড়িয়েছে বলে প্রাথমিক অনুমান।
আগুনের জেরে এদিন ব্রেবোর্ন রোড দীর্ঘ সময় বন্ধ ছিল। হাওড়ামুখী বাস ঘুড়িয়ে দেওয়া হয় স্ট্যান্ড রোড দিয়ে। তবে ছুটির দিন হওয়ায় যানজট তেমন হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
❑ মালগাড়ির চাকায় পিষ্ট, চিরঘুমে ১৫ জন পরিযায়ী শ্রমিক ❑
নিজস্ব প্রতিবেদক, ৯ই মে ২০২০ ঔরঙ্গাবাদঃ শুক্রবার সকালে মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদ জেলায় মালগাড়ির তলায় চাপা পড়ে মৃত্যু হল কমপক্ষে ১৫জন পরিযায়ী শ্রমিকের। ভারতীয় রেল সূত্রে খবর, ওই শ্রমিকরা দীর্ঘদিন করোনা ভাইরাসের সংক্রমণকে আটকাতে যে লকডাউন জারী আছে তার কারণে মহারাষ্ট্রে আটকে থাকার পর রেললাইন ধরে হেঁটে বাড়ির উদ্দেশ্যে মধ্যপ্রদেশে রওনা দিয়েছিলেন।
রাতভর হাঁটার পর পা ভারী হয়ে আসছিল ক্রমশ, ক্লান্ত, অবসন্ন শরীরটা আর এগোচ্ছিল না, উপায় না দেখে তাই লাইনের উপরেই বসে পড়েছিলেন। ভেবেছিলেন, লকডাউনের সময় ট্রেন তো চলছে না, তাই লাইনের উপর বসে খানিক জিরিয়ে নিয়ে ফের রওনা দেবেন। কিন্তু পুঁটলিতে রাখা শুকনো রুটি মুখে পুরতেই বন্ধ হয়ে এসেছিল দুই চোখ। এলিয়ে পড়েছিলেন সকলে, কিন্তু ক্লান্তির জেরে মালগাড়ির শব্দ যে কানে পৌঁছাবে না, একেবারে চিরঘুমে চলে যেতে হবে, তা বুঝে উঠতে পারেন নি কেউই।
২০জন শ্রমিক দলের মধ্যে যে বাকি ৫জন বেঁচে গেছেন তাদের মধ্যে ৪জনকে দুর্ঘটনার জেরে হওয়া ভয়ঙ্কর মানসিক ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার জন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছেন পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্তা মোক্ষদা পাতিল। পঞ্চম জনকে মালগাড়ির ধাক্কায় গুরুতর আহত অবস্থায় ঔরঙ্গাবাদ সিভিল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঔরঙ্গাবাদ গ্রামীণ পুলিশ ইন্সপেক্টর সতীশ খেতমালাস জানিয়েছেন ভোর ৫.১৫ নাগাদ একটি খালি মালগাড়ি ঘটিয়ে ফেলে এই মর্মান্তিক ঘটনাটি যেটি হায়দ্রাবাদের কাছে চেরলাপল্লী স্টেশন এর উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিল নাসিকের মানমাদ সংলগ্ন পানেওয়ালী স্টেশন থেকে।
রেলের তরফ থেকে এই দুর্ঘটনার কথা স্বীকার করে নিয়ে বলা হয়েছে যে, মালগাড়ির চালক একদল মানুষকে রেললাইনের উপর শোয়া অবস্থায় দেখতে পেয়ে ট্রেন থামানোর চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত বিফল হয় তার প্রচেষ্টা। এদিকে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান ঘটনায় মৃত শ্রমিকদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া পরিবারের জন্য সাহায্য চেয়ে রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়ালের সঙ্গে কথা বলেন। মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন স্পীকার হরিভাউ বাগদে দুর্ঘটনা স্থলটি পরিদর্শনে যান। এছাড়া রাজ্যের তরফ থেকে শিবরাজ সিংহ চৌহান মৃতদের পরিবার পিছু পাঁচলক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। দক্ষিণ রেলওয়ের জনসংযোগ আধিকারিক জানান, ‘ঘটনাটি জানার সঙ্গে সঙ্গে রেল সুরক্ষা বাহিনী এবং পুলিশ দুর্ঘটনা স্থলে পৌঁছায়। ’ এছাড়াও ঘটনাটি কীভাবে ঘটল তা জানতে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রেলওয়ে ও সুরক্ষা দপ্তরের অধীনে।
রাতভর হাঁটার পর পা ভারী হয়ে আসছিল ক্রমশ, ক্লান্ত, অবসন্ন শরীরটা আর এগোচ্ছিল না, উপায় না দেখে তাই লাইনের উপরেই বসে পড়েছিলেন। ভেবেছিলেন, লকডাউনের সময় ট্রেন তো চলছে না, তাই লাইনের উপর বসে খানিক জিরিয়ে নিয়ে ফের রওনা দেবেন। কিন্তু পুঁটলিতে রাখা শুকনো রুটি মুখে পুরতেই বন্ধ হয়ে এসেছিল দুই চোখ। এলিয়ে পড়েছিলেন সকলে, কিন্তু ক্লান্তির জেরে মালগাড়ির শব্দ যে কানে পৌঁছাবে না, একেবারে চিরঘুমে চলে যেতে হবে, তা বুঝে উঠতে পারেন নি কেউই।
২০জন শ্রমিক দলের মধ্যে যে বাকি ৫জন বেঁচে গেছেন তাদের মধ্যে ৪জনকে দুর্ঘটনার জেরে হওয়া ভয়ঙ্কর মানসিক ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার জন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছেন পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্তা মোক্ষদা পাতিল। পঞ্চম জনকে মালগাড়ির ধাক্কায় গুরুতর আহত অবস্থায় ঔরঙ্গাবাদ সিভিল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঔরঙ্গাবাদ গ্রামীণ পুলিশ ইন্সপেক্টর সতীশ খেতমালাস জানিয়েছেন ভোর ৫.১৫ নাগাদ একটি খালি মালগাড়ি ঘটিয়ে ফেলে এই মর্মান্তিক ঘটনাটি যেটি হায়দ্রাবাদের কাছে চেরলাপল্লী স্টেশন এর উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিল নাসিকের মানমাদ সংলগ্ন পানেওয়ালী স্টেশন থেকে।
রেলের তরফ থেকে এই দুর্ঘটনার কথা স্বীকার করে নিয়ে বলা হয়েছে যে, মালগাড়ির চালক একদল মানুষকে রেললাইনের উপর শোয়া অবস্থায় দেখতে পেয়ে ট্রেন থামানোর চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত বিফল হয় তার প্রচেষ্টা। এদিকে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান ঘটনায় মৃত শ্রমিকদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া পরিবারের জন্য সাহায্য চেয়ে রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়ালের সঙ্গে কথা বলেন। মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন স্পীকার হরিভাউ বাগদে দুর্ঘটনা স্থলটি পরিদর্শনে যান। এছাড়া রাজ্যের তরফ থেকে শিবরাজ সিংহ চৌহান মৃতদের পরিবার পিছু পাঁচলক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। দক্ষিণ রেলওয়ের জনসংযোগ আধিকারিক জানান, ‘ঘটনাটি জানার সঙ্গে সঙ্গে রেল সুরক্ষা বাহিনী এবং পুলিশ দুর্ঘটনা স্থলে পৌঁছায়। ’ এছাড়াও ঘটনাটি কীভাবে ঘটল তা জানতে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রেলওয়ে ও সুরক্ষা দপ্তরের অধীনে।
File Details:
PDF Name : Bengali Report Writing Part-4
Language : Bengali
Size : 0.6 mb
No. of Pages : 2
Download Link : Click Here To Download
Language : Bengali
Size : 0.6 mb
No. of Pages : 2
Download Link : Click Here To Download
More PDF
|
Download Link
|
---|---|
Report Writing in Bengali Part-3 | Click Here |
Report Writing in English | Click Here |
good job ..dada protibedan english summary translation aro besi chai
ReplyDeleteঠিকাছে, আমরা চেষ্টা করবো।
DeleteReport on seminar attend drug abuse likho
ReplyDeleteKhub bhalo khub helpful
ReplyDeleteভালো প্রচেষ্টা
ReplyDelete